প্রতিকূল মরশুম এবং জঙ্গি হানার আশঙ্কাকে সঙ্গী করেই শুরু হয়ে গেল চলতি বছরের অমরনাথ তীর্থযাত্রা। শনিবার অমরনাথ যাত্রীদের প্রথম দলটি উপত্যকার পহেলগাঁওয়ে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, এ বারের ৫২ দিনের অমরনাথ দর্শন পর্ব চলবে দু’টি যাত্রাপথে।
অনন্তনাগের ৪৮ কিলোমিটারের নুনওয়ান-পহেলগাঁও এবং এবং গান্ডেরওয়ালের ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরনো বালতালের পথে। আগামী ১৯ অগস্ট পর্যন্ত চলবে অমরানাথ তীর্থযাত্রা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন এবং ‘অমরনাথ তীর্থস্থান বোর্ড’ সূত্রের খবর, দু’টি যাত্রাপথেই থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহ শুক্রবার জম্মুর ভগবতী নগরের বেস ক্যাম্পে ৪,৬০৩ জন তীর্থযাত্রীর প্রথম দলটিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এরপর দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার কাজিগুন্ড এলাকার নবযুগ সুড়ঙ্গ পার হন যাত্রীরা।
রাজধানী শ্রীনগর পার হয়ে প্রথম দলটি পৌঁছয় পহেলগাঁওয়ে। ২০২২ সালে অমরনাথ গুহার পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবল বৃষ্টির পরে নিকটবর্তী শিবির ভাসিয়ে হড়পা বান আছড়ে পড়েছিল বালতালের বেস ক্যাম্পে।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে এই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েক জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই কথা মাথায় রেখে পুণ্যার্থীদের যাত্রাপথের প্রতিটি ক্যাম্পে এবারই প্রথম বসানো হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার বিষয়টিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অতীতে জঙ্গি হানার ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার অমরনাথ যাত্রাপথে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং সেনা। পুরো যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন এবং বিশেষ প্রশিক্ষিত সারমেয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে।