বাঁকুড়া

প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মান্যতা রেল মন্ত্রকের, ‘মায়ের গাঁ’ জয়রামবাটি পর্যন্ত ছুটবে ট্রেন

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মান্যতা রেল মন্ত্রকের, ‘মায়ের গাঁ’ জয়রামবাটি পর্যন্ত ছুটবে ট্রেন - West Bengal News 24

পূণ্যার্থীরা এবার সরাসরি ট্রেনেই পৌঁছে যাবেন সারদা দেবীর জন্মস্থান হিসেবে বিখ্যাত জয়রামবাটিতে। ‘মায়ের গাঁ’ জয়রামবাটি পর্যন্ত ছুটবে ট্রেন। লাইন পাতা হয়ে গিয়েছে, স্টেশন তৈরির কাজও প্রায় শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে , ২০০০-২০০১ অর্থবর্ষে বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথ নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০০২ -২০০৩ সালে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। ২০০৬-২০০৭ সালে এই প্রকল্পের জন্য শুরু হয় এই রেলপথের জমি অধিগ্রহণের কাজ। ২০০৮-২০০৯ সালে রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হয়। বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথের মধ্যে বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজ সম্পূর্ণ করে ২০১০ সালেই ওই পথে ট্রেন চলতে শুরু করে। বছর দুই পর সেই রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত হয় ময়নাপুর পর্যন্ত।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে কিছু ছোটখাটো কাজ শেষ করেই খুব দ্রুত জয়রামবাটি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত করা হবে। আর এতেই খুশি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে জয়রামবাটি মাতৃ মন্দির কর্তৃপক্ষ।

জানা যায় , একটা সময় বাঁকুড়ার জয়রামবাটি থেকে কলকাতায় রামকৃষ্ণদেবের কাছে যাওয়ার জন্য ট্রেনে চড়েই যাতায়াত করতেন সারদা দেবী। কিন্তু তার জন্য অনেক কষ্ট করতে হত। জয়রামবাটি থেকে গোরুর গাড়িতে চড়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছতে হত বিষ্ণুপুর স্টেশনে। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে যেতে হত কলকাতায়।

সম্প্রতি বড় গোপীনাথপুর হয়ে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ করে ফেলেছে রেল। জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে স্টেশন। জয়রামবাটি মাতৃ মন্দির কর্তৃপক্ষের মতে , “সারা বছরই দেশ বিদেশ থেকে বহু ভক্ত জয়রামবাটি মাতৃ মন্দিরে যান।

এতদিন পর্যন্ত রেল যোগাযোগ না থাকায় যে সমস্যায় তাঁদের যে সমস্যায় পড়তে হত, তা এবার তা দূর হবে। পাশাপাশি রেল যোগাযোগ শুরু হলে এলাকার আর্থ সামাজিক পরিবেশও বদলে যাবে বলে আশা”। সুতরাং বলাই , প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত প্রকল্প মেনেই নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য