স্বাস্থ্য

চা পানে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে ২৪ ভাগ

চা পানে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে ২৪ ভাগ

যারা নিয়মিত চা পান করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য পুলকিত হওয়ার মতো কিছু সুখবর রয়েছে! ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজিতে (ইএসসি) উপস্থাপিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চা পানে হৃদরোগসহ অন্য যে কোনো কারণে মৃত্যুঝুঁকি ২৪ ভাগ কমে যায়।

হৃদরোগের তেমন কোনও ঝুঁকিতে নেই ফ্রান্সের এমন একটি বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর উপর গবেষণা চালিয়ে এই ফল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যু এবং অন্যান্য রোগজনিত কারণে মৃত্যুতে কফি ও চা এর প্রভাব পরীক্ষা করে দেখা হয়। এ গবেষণায় ১৮ থেকে ৯৫ বছর বয়সী ১ লাখ ৩১ হাজার ৪০১ জন অংশগ্রহণ করেন।

২০০১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর এই সময়কালের মধ্যে প্যারিস আইপিসি প্রিভেনটিভ মেডিসিন সেন্টারে এদের সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কফি পান করেন তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশী। কারণ কফি পানকারীরা বেশী ধুমপান করেন। যারা প্রতিদিন ৪ কাপের বেশী কফি পান করেন তাদের ৫৭ শতাংশই ধুমপায়ী।

যারা কফি পান করেননা তাদের ৪৫ শতাংশই শারীরিকভাবে অনেক বেশী সক্রিয়। অন্যদিকে কফি পানকারীদের মাত্র ৪১ শতাংশ লোকের শারীরিক সক্রিয়তার লেভেল ভালো। এছাড়া যারা কফি পান করেননা তাদের মাত্র ১৭ শতাংশ ধুমপায়ী। আর যারা প্রতিদিন ১-৪ কাপ কফি পান করেন তাদের ৩১ শতাংশ ধুমপায়ী।

তবে চা পানকারীদের ক্ষেত্রে চিত্রটি একদম উল্টো। এদের মধ্যে যারা চা পান করেননা তাদের তুলনায় হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কম। যারা চা পান করেন না তাদের ৩৪ শতাংশই ধুমপায়ী। অন্যদিকে যারা প্রতিদিন ১-৪ কাপ চা পান করেন তাদের ২৪ শতাংশ ধুমপায়ী। আর যারা প্রতিদিন ৪ কাপের বেশী চা পান করেন তাদের ২৯ শতাংশ ধুমপায়ী।

ফরাসি গবেষক ও অধ্যাপক নিকোলাস ডানচিন বলেন, ‘গবেষণায় চা পানকারীদের চেয়ে কফি পানকারীদের মধ্যেই আমরা অল্প বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশী দেখতে পাই। এছাড়া এ ক্ষেত্রে নারী পুরুষের মধ্যেও বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। নারীদের তুলনায় পুরুষরাই কফি বেশী পছন্দ করেন। অন্যদিকে পুরুষদের তুলনায় নারীরা চা বেশী পছন্দ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চা পানে হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও কিছুটা কমে আসে। তবে চা পানে অন্যান্য রোগজনিত কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে ব্যাপকহারে।’

ডানচিন সবশেষে বলেন, ‘চা পানে হৃদরোগজনিত কারণ ছাড়া অন্য কোনও রোগজনিত কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কমে যায়। এছাড়া চা হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনে।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button