রাজ্য

করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে এগরা মডেলের প্রয়োগ চান মুখ্যমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে এগরা মডেলের প্রয়োগ চান মুখ্যমন্ত্রী

কেন্দ্রের হটস্পট তালিকায় ছিল পূর্ব মেদিনীপুর। স্বাভাবিকভাবেই গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রবল সম্ভাবনা ছিল এই জেলায়। কিন্তু এগরা মডেল সফল ভাবে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ রুখতে পেরেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। এমনই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

তিনি জানিয়েছেন, হাওড়া-কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে এগরা মডেলেরই প্রয়োগ চান তিনি। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া-কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনার করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

হাওড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কঠোর পদক্ষেপ করুন। মেলামেশা, রাস্তায় বেরোনো সব বন্ধ করে দিন। দরকার হলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ খাবার দেবে। না হলে হাওড়াকে আটকাতে পারব না।”এমনকি প্রয়োজনে সশস্ত্র পুলিশ নামানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্য বলেন, “দেখবেন পারিবারিক হতে হতে সংক্রমণ গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণের পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, লকডাউনের মধ্যে কোথাও বাজারে ভিড় করা যাবে না। মাস্ক ছাড়া বাজারে গেলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

এগুলো যথাযত ভাবে না মানলে গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রবল সম্ভাবনার কথা সবাইকেই মাথায় রাখতে বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোনে ছিল। কিন্তু এগরকে মডেলে ওই জেলা এখন অরেঞ্জ জোনে চলে এসেছে। হাওড়া ও কলকাতা, এই দুই জেলাকেও রেড থেকে অরেঞ্জ জোনে আনতে হবে।

উল্লেখ্য, মার্চ মাসের শেষ দিকে নয়াবাদের এক করোনা-আক্রান্ত বৃদ্ধের সংক্রমণের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, এগরার একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে সংক্রমণ হয়েছে। সেখানে বিদেশ থেকেও নিমন্ত্রিতরা এসেছিলেন। ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য দফতর বৃদ্ধের সংস্পর্শে থাকা প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ সমস্ত ব্যক্তিকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখে। একই পরিবারের ৫ জনের সংক্রমণ হয় ওই ঘটনায়। কিন্তু সবটাই হাসপাতালে হওয়ায় বাইরে সংক্রমণ ছড়ায়নি। একেই এগরা মডেল হিসাবে ধরা হচ্ছে।

সুত্র : কলকাতা ২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button