শাশুড়িকে যেভাবে খুশি রাখবেন
শাশুড়ির সাথে বনিবনা না হওয়া আধুনিক কালের নববধূদের একটি বড় সমস্য। আর এ কারণে অনেকের সাজানো সংসার ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু সহজেই এ থেকে সমাধান পাওয়া যায়। দরকার শুধু উপায় খুঁজে বের করা। শাশুড়ি সামলানোর কৌশলগুলো জেনে নিন।
রান্নাবান্না বা ঘর সাজানো নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ হলে খামোখা ঝগড়াঝাঁটিতে যাবেন না। এ বয়সে এসে উনি নিজেকে পালটাতে পারবেন না।
কাজেই আপনারই বা এনার্জি ক্ষয় করে লাভ কী! চেষ্টা করুন ওঁর মত মেনে নিয়েই একটা মাঝামাঝি জায়গায় রফা করতে। শাশুড়ি যদি সারাক্ষণ নিজের মত আপনার উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, সেটাও মেনে নেওয়া কাজের কথা নয়।
চেঁচামেচিতে যাবেন না। বরং ঠান্ডাভাবে ওঁকে বুঝিয়ে দিন, আপনার উপর সব কিছু নিয়ে জোর খাটানো যাবে না। শাশুড়িকে কিছু কিছু কাজের কৃতিত্ব নিতে দিন। হয়তো আপনারা দু’জনে মিলেই কোনও একটা ভালো পদ রান্না করেছেন, কিন্তু তার প্রশংসা সবটুকু শাশুড়িকেই নিতে দিন।
এতে আপনার কারণে উনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না। আপনার যদি অল্পেই মেজাজ হারিয়ে ফেলার অভ্যেস থাকে, তা হলে কোনওরকম বাগবিতন্ডার পরিস্থিতি দেখা দিলেই সেখান থেকে সরে যান। মেজাজ হারিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলে দিলে পরে নিজেই আফশোস করবেন৷
শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর নাতিনাতনির সম্পর্কটা একেবারেই ওঁদের নিজেদের। এই সম্পর্কটায় নিজে ঢুকতে যাবেন না। ঠাকুরমা কখনওই তাঁর নাতিনাতনির ক্ষতি চাইবেন না, এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকুন। আপনার শাশুড়ি কিন্তু আপনার স্বামীর মা। স্বামীর কাছে পারতপক্ষে শাশুড়ির নিন্দে করবেন না।
একইভাবে স্বামীর সঙ্গে শাশুড়ির সম্পর্কেও নাক গলাতে যাবেন না৷ শাশুড়ি আপনাকে কখনও বাঁকা কথা বললেও মেজাজ হারাবেন না। শান্ত থাকুন। আপনার কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে একসময় উনি নিজেই থেমে যাবেন।