করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ঝাড়গ্রামে চাহিদা বাড়ছে ফেস শিল্ডের !
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে আপাতত করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে আমাদের। সাবধানতা এবং সতর্কতার সঙ্গেই জীবনযাপন করতে হবে। ঝাড়গ্রাম সরকারি খাতায় কলমে সবুজ জেলা। তবে একের পর এক করোনা আক্রান্তের খবর মিলছে সবুজ জেলায়।
তাই সাবধানের মার নেই! ঝাড়গ্রাম শহরের ওষুধ দোকানগুলিতে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। তার মধ্যে এন-৯৫ মাস্কের চাহিদা অনেকটাই বেশি। শহরের বিভিন্ন দোকানে এখন পাওয়া যাচ্ছে এই বিশেষ মাস্ক। আবার সাধারণের আয়ত্বের মধ্যে যাতে মাস্ক পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই জন্য বিভিন্ন সংস্থা কাপড়ের মাস্ক তৈরি করেও সরবরাহ করছে।
গড়ে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে কাপড়ের মাস্কও পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রাজনৈতিক ভাবে শাসক দলের তরফেও এলাকাবাসীকে মাস্ক বিলি করা হয়েছে। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জঙ্গলমহলের জন্য কয়েক দফায় বেশ কয়েক হাজার মাস্ক পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু মাস্ক ছাড়াও বাড়তি সুরক্ষার সরঞ্জাম বাজারে এসে গিয়েছে।
সেই নতুন সুরক্ষা কবচ ‘ফেস শিল্ড’ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঝাড়গ্রামে। ফেস শিল্ড হল স্বচ্ছ প্লাস্টিকের মুখের আবরণী। এই মুখ-আবরণী পরে থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কম হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথা মোড়ের ‘রয়্যাল দে’জ মেডিক্যাল’-এর অন্যতম কর্ণধার ইন্দ্রনীল ঘোষ বললেন, “ফেস শিল্ডের চাহিদা এখন তুঙ্গে।
বিভিন্ন ধরনের ফেস শিল্ড পাওয়া যাচ্ছে। দাম গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।” শহরের পালস্ নামে আর একটি ওষুধ দোকানের মালিক সায়ন্তন রায় বলেন, “মাস্কের পাশাপাশি এখন ফেস শিল্ডের চাহিদাও রয়েছে। তাই আমরা বেশ কিছু ফেস শিল্ড আনাচ্ছি।”
শহরের বিভিন্ন পেশার মানুষ ফেস শিল্ড ব্যবহার করছেন। শহরের প্রবীণ ব্যবসায়ী স্বরূপ দে জানালেন, তিনি ফেস শিল্ড পরেই দোকানে বসছেন। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে মাস্কও পরছেন।