ঝাড়গ্রামে প্রশাসনের কাজ সহজ করতে পথে নামলেন প্রাথমিক শিক্ষক
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম:আম্ফুনের কবল থেকে দরিদ্র বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয়শিবির খোলা হয়েছে। কিন্তু ঘর ছেড়ে আশ্রয়শিবিরে যেতে চাইছিলেন না ঝাড়গ্রাম শহরের দরিদ্র বাসিন্দাদের একাংশ। দুর্যোগ মাথায় বাসিন্দাদের বোঝাতে পথে নামলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক উজ্জ্বল পাত্র। বুধবার সকাল থেকেই প্রকৃতির রুদ্ররূপ দেখা গিয়েছিল ঝাড়গ্রামেও।
প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরার কনকপল্লী এলাকায় গাছ পড়ে দু’টি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কেউ হতাহত হননি। তবুও খেটেখাওয়া দরিদ্র বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে বেরোতে চাইছিলেন না। তাঁদের বোঝাতে এদিন শহরের কনকপল্লী, বিবেকানন্দপল্লী, জামাইবস্তি, সত্যবানপল্লীর বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের আম্ফুনের বিষয়ে সতর্ক করেন উজ্জ্বল। ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা উজ্জ্বল পেশায় মানিকপাড়া চক্রের রাজাবাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক। এদিন উজ্জ্বলের সঙ্গে পথে নেমেছিলেন স্থানীয় যুবক দেবমাল্য, রঞ্জিত, সূরজ, মনোজিৎ, সানির মতো কয়েকজন উদ্যমী যুবকও। উজ্জ্বলের একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি ঝাড়গ্রাম শহর যুব তৃণমূলের সম্পাদক।
এদিন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জেলার আম্ফুন হেল্পলাইন নম্বরগুলি দেন উজ্জ্বল। বিপদ মনে হলে প্রশাসনের আশ্রয়শিবিরে যেতে বলেন বাসিন্দাদের। নিজের ফোন নম্বর দিয়ে কোনও সমস্যা হলে বাসিন্দাদের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলেন। উজ্জ্বল বলেন, “মানুষ হয়ে জন্মেছি, মানবধর্ম পালন করছি। বিপদেই তো মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বসে আছেন কন্ট্রোল রুমে। আমরাও যদি এগিয়ে এসে সাধারণ মানুষকে সচেতন করি, তাহলে প্রশাসনের পক্ষেও কাজ করাটা অনেক সহজ হয়।”