ঝাড়গ্রাম জেলায় মাঝ-নদীতে ঝড়ে ডুবল নৌকা, রক্ষা পেলেন সব যাত্রী
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: জামাইষষ্ঠী বলে কথা! তাই শেষ বেলায় শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য নৌকায় মালপত্র নিয়ে উঠেছিলেন অনেকেই। মোটর সাইকেলও নৌকায় তুলেছিলেন তিন জন যাত্রী। মাঝ নদীতে ঝড়ো হাওয়ায় উল্টে গেল যাত্রী সমেত নৌকা। বরাত জোরে বেঁচে গেলেন নৌকার সমস্ত আরোহী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পাঁচজন মহিলা ও ছ’জন নাবালক।
বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের আসনবনি এলাকায় সুবর্ণরেখা নদীতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাসড়া পঞ্চায়েতের আসনবনি আর গোপীবল্লভপুরের আমরদা পঞ্চায়েতের জানাঘাটির মধ্যে যাতায়াতের জন্য ফেয়ার ওয়েদার সেতুটি কয়েকদিন আগে আমফানের ঝড়ে ধুয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় স্থানীয়স্তরে খেয়া পারাপার শুরু হয়। এদিন বিকেলে আসনবনি ঘাট থেকে নৌকায় প্রায় জনা কুড়ি যাত্রী উঠেছিলেন। তিনজন যাত্রী মোটর বাইক তুলেছিলেন নৌকায়। আর দু’জন যাত্রী সাইকেল নিয়ে উঠেছিলেন। সন্ধ্যার মুখে মাঝ নদীর কাছাকাছি নৌকাটি পৌঁছতেই ঝড় ওঠে। দমকা হওয়ায় নদীর স্রোতে নৌকাটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি মাঝি রবিন বিশুই। যাত্রী সমেত নৌকাটি উল্টে যায়।
নৌকার সামনের দিকে থাকা কয়েকজন যাত্রী নৌকাটিকে কোনও মতে সোজা করে দেন। ততক্ষণে তিনটি বাইক ও দু’টি সাইকেল সহ যাত্রীদের মালপত্র নদীতে তলিয়ে যায়। যাত্রীদের বেশির ভাগ সাঁতার জানায় নাবালক সমেত সকলেই জানাঘাটির পাড়ে উঠতে সমর্থ হন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কয়েকজন যাত্রীর মোবাইল ফোনও নদীতে পড়ে গিয়েছে। যাত্রীদের সকলেই রক্ষা পেয়েছেন। কাউকেই হাসপাতালে পাঠাতে হয়নি। নিরাপদে সকলেই গন্তব্যে চলে যান। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসন-পুলিশের অনুমতি না নিয়েই কয়েকদিন ধরে সেখানে খেয়া পারাপার হচ্ছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল হলে ডুবে যাওয়া মোটর বাইক ও সাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।