রাজ্য

আগামিকাল থেকে এই সমস্ত জায়গায় বাড়লো লকডাউন, জেনে নিন বিস্তারিত !

আগামিকাল থেকে এই সমস্ত জায়গায় বাড়লো লকডাউন, জেনে নিন বিস্তারিত !

ওয়েবডেস্ক : দ্রুত হারে বাড়ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।

একইসঙ্গে কেবলমাত্র শুক্রবারই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। সবমিলিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়েছে মোট ৫৪৩ জন। এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮৭ জন।

এদিকে, জেলা জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং তারইসঙ্গে রীতিমত দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে বর্ধমান পুর এলাকাতেও করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত সোমবার থেকে একটানা ৭দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে বর্ধমান পুর এলাকার ৩৫টি ওয়ার্ডেই।

জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুসারে গোটা জেলা জুড়েই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় জেলায় কন্টেনমেন জোনের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় কণ্টেনমেন জোনের সংখ্যা ১৭৬ টি।

[ আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামে সবুজের সৌন্দর্য ফেরাতে উদ্যোগী পুরসভা ]

এদিকে, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় এবং গোটা জেলা জুড়েই বেশ কিছু এলাকায় করোনা বিধি উপেক্ষা করে মানুষের সমাগম হতে থাকায় শুক্রবার জেলাশাসক জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন। নতুন করে কালনা, কাটোয়া এবং মেমারী পুরসভার সমগ্র এলাকাকেই ২৬ থেকে ২৮ জুলাই ৩দিন পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

একইসঙ্গে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরত্‍পুর গ্রাম পঞ্চায়েত, সমুদ্রগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমগ্র এলাকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি মেমারী ১ ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মেমারী ২ ব্লকের সাতগেছিয়া মোড়, সাতগেছিয়া বাজার এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত।

অন্যদিকে, বর্ধমান ১নং ব্লকের সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েত, রায়ান ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

[ আরও পড়ুন : মুখে মাস্ক কই? পথে নেমে প্রশ্ন পুর-প্রশাসকের ]

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্সের সময় বেশ কিছু এলাকার জনপ্রতিনিধি তাঁদের এলাকায় ব্যাপক হারে করোনা বিধি উপেক্ষা করে জমায়েত করার বিযষয়টি তুলে ধরে প্রশাসনের কাছে সেই সমস্ত এলাকাকেও ৭দিনের জন্য লকডাউনের দাবি জানান।

মেমারী ২ ব্লকের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল জানিয়েছেন, তাঁর এলাকায় বিশেষ করে সাতগেছিয়া মোড়, সাতগেছিয়া বাজার এবং আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষের ভিড় করোনা সংক্রমণকে আরও বাড়িতে তুলছে। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি ঝিকড়া এলাকাতেই দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও তাঁরা সুস্থ রয়েছেন।

ইসমাইল সাহেব জানিয়েছেন, শুধু এটাই নয়, এই এলাকার যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছেন তাঁরাও হোম কোয়ারেণ্টাইনকে তোয়াক্কা না করে পাড়ার চায়ের দোকান থেকে বাজার অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও তীব্রতর হচ্ছে।

তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তিনি ব্যক্তিগতভাবেই জেলাশাসকের কাছে এই সমস্ত এলাকায় ৭দিনের জন্য লকডাউন চান। একইসঙ্গে এই এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকরা অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা সরকারী ফুড কুপন পাননি। এব্যাপারেও জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

[ আরও পড়ুন : ক্ষমতায় এলে বদলে দেব সব, চায়ের চর্চায় আশ্বাস দিলীপের ]

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফুড কুপনের দাবীতে রাস্তা অবরোধও করেন। ফুড কুপনকে ঘিরে এলাকায় অশান্তিও সৃষ্টি হয়। যদিও এব্যাপারে জেলা মুখ্য খাদ্য নিয়ামক আবিরকুমার বালি জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফুড কুপন না পাবার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। বিডিওরা এই কুপন ইস্যু করছেন।

তাই কোনো ক্ষেত্রে কুপন না পেলে তাঁদের শনিবারের (২৫ জুলাই) মধ্যে বিডিওদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অপরদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডুর নিরাপত্তারক্ষীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর শুক্রবার জেলা পরিষদের একঝাঁক কর্মকর্তার সোয়াব চেষ্ট করানো হল।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার থেকেই জেলা পরিষদকে ৭দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি জেলার একাধিক তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

[ আরও পড়ুন : ক্ষমতায় এলে বদলে দেব সব, চায়ের চর্চায় আশ্বাস দিলীপের ]

কারণ পুলিশ বিভাগের এই নিরাপত্তারক্ষীদের করোনা আক্রান্ত হবার ঘটনায় গোটা পুলিশ মহল বিশেষত বর্ধমান জেলা পুলিশ লাইনের আবাসিক পুলিশ কর্মীদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

 

 

সুত্র: কলকাতা24×7

আরও পড়ুন ::

Back to top button