স্বাস্থ্য

করোনা রোগী কেন উপুড় হয়ে শোবেন !

করোনা রোগী কেন উপুড় হয়ে শোবেন !

‌করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা।

তবে ঘুমানোর সময় একটানা নয়। জেগে থেকে বিশ্রাম নেয়ার সময় উপুড় হয়ে শোয়ায় উপকার পাওয়া যায়।

করোনা আক্রান্ত রোগীকে কখনোই চিত করে শোয়ানো যাবে না। উপুড় করে শোয়াতে সমস্যা হলে ডান বা বাঁ পাশে কাত করে শোয়াতে হবে।

করোনাভাইরাস যেহেতু শ্বাসনালীর মাধমে ফুসফুসকে আক্রান্ত করে থাকে; তাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে। রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে তাকে উপুড় করে শোয়ানো হয়।

এটি প্রোন পজিশনিং বা উপুড় করে শোয়া এবং হাফ লায়িং পজিশনিং বা আধশোয়া অবস্থা। যা করোনার চিকিৎসায় স্বীকৃত এক ধরনের পদ্ধতি।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তীব্র হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেটর দেয়ার আগে করোনা আক্রান্ত রোগীকে এ সেবা দেয়া হয়।

[ আরও পড়ুন : কি করে বুঝতে পারবেন যে আপনার স্যানিটাইজারটি আসল না নকল ]

কেন উপুড় হয়ে শোবেন-
১. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা পেটের ওপর ভর দিয়ে শোয়ার চেষ্টা করবেন। উপুর হয়ে শোয়া অবস্থায় ফুসফুসের অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। এই অবস্থায় ফুসফুসে অক্সিজেন বেশি প্রবেশ করে। এতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হাইপোক্সিক অবস্থা বা অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।

২. যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা উপুড় হয়ে শোবেন। তা না হলে ডান বা বাঁ কাতে শোয়া ভালো। কখনও চিত হয়ে শুয়ে থাকা উচিত না।

৩. করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ হলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের কাজটাও সঠিকভাবে হয় না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি ক্রমশ দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্যই রোগীকে উপুড় করে শোয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

[ আরও পড়ুন : বয়সের ছাপের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায় যেসব খাবার ]

৪. উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে ও ইনফেকশনের প্রবণতাও কমে।

৫. তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীকেও উপুড় করে শোয়ালে অনেক সময় ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয় না। উপুড় হয়ে শুলে হৃদপিন্ড ও আশেপাশের জিনিসগুলো সামনের দিকে চলে আসে। ফলে পিছনের দিকের ফুসফুসের অংশ প্রসারিত হওয়ার যায়গা পায়। আর ফুসফুসের মাধ্যমে বেশি অক্সিজেন শরীরের ভিতরে ঢুকাতে পারে।

লেখক: ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, বিসিএস (স্বাস্থ্য), নাক-কান-গলা বিভাগ, বিএসএমএমইউ (প্রেষণে), ঢাকা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button