ঝাড়গ্রামে করোনার কোপে বাজার সরছে কিষাণ বাজারে
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: অবশেষে চালু হচ্ছে ঝাড়গ্রামের কিষাণ বাজার। শুক্রবার বিকেলে শহরের আনাজ, মাছ ও ফল ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাজার কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকের পরে একথা জানিয়ে দিলেন ঝাড়গ্রাম সদরের মহকুমাশাসক তথা পৌর-প্রশাসক সুবর্ণ রায়। ঝাড়গ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলিকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার থেকে বাজার এলাকায় পুরো লকডাউন। এর ফলে শহরের পুরসভা লাগোয়া রাস্তা ও আরবিএম স্কুল লাগোয়া রাস্তার ধারে এবং শহরের আরও কয়েকটি রাস্তার ধারে মাছ, সব্জি ও ফলের পসরা নিয়ে বসে বিক্রিবাটা করছিলেন ব্যবসায়ীরা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে বাজার করার জন্য লোকজনের ভিড় উপচে পড়ছিল।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে বাজার কমিটি গুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসেন পৌর-প্রশাসক। বৈঠকে ছিলেন এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য ও ঝাড়গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়ও। বৈঠকে মহকুমাশাসক জানিয়ে দেন, কোনও মতেই রাস্তার ধারে সব্জি, মাছ, ফল নিয়ে বসা যাবে না।
[ আরও পড়ুন : বিজেপির গন ডেপুটেশন সুন্দরবন পুলিশ জেলা অফিসে ]
কিষাণ বাজারেই পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের বসতে হবে। পুরসভার পক্ষ থেকে কিষাণ বাজারটি পরিষ্কার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই কিষাণ বাজারটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক। সব্জি, মাছ ও ফলের পাইকারি ও খুচরো বাজার সেখানেই বসবে।
২০১৬ সালে শহরের উপকন্ঠে ঝাড়গ্রাম-দহিজুড়ি রাজ্য সড়কের ধারে জামদা এলাকায় কিষাণ বাজারটি তৈরি করা হয়। কিন্তু শহরের মূল এলাকা থেকে কিষাণ বাজার কিছুটা দূরে হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সেখানে যেতে চান না। করোনা পরিস্থিতিতে এবার প্রশাসন কড়া মনোভাব নিয়েছে। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে তৈরি ওই কিষাণ বাজারেই পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের বসতে হবে। এদিন বৈঠকের পরে দুই পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে কিষাণ বাজারটি পরিদর্শন করেন মহকুমাশাসক।
[ আরও পড়ুন : কিশোরীর পেট থেকে বেরোলো দেড় কেজি চুল ! ]
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরবাসী। শহরের বাসিন্দা পৌলমী দে, রোহিত সিনহার বক্তব্য, ‘‘দূরত্বটা বড় কথা নয়, করোনা পরিস্থিতিতে এটা খুব প্রয়োজন ছিল।’’