বিনোদন

কাজটি করা একেবারেই সহজ ছিল না: জাহ্নবী

কাজটি করা একেবারেই সহজ ছিল না: জাহ্নবী
জাহ্নবী কাপুর

মুক্তির আগে থেকেই বেশ আলোচনায় ছিল ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’ সিনেমাটি। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে এটি। সর্বমহলেই বেশ ভালো ভালো সাড়া পাচ্ছে সিনেমাটি। অনেকেই ছবির অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। তবে এর বাইরেও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চলছে বিতর্ক।

ছবিটিতে এমন কিছু দৃশ্য ও সংলাপ দেখানো হয়েছে, যা ভারতীয় বায়ুসেনার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করেছে বলে তাদের মত। যার কারণে ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে সম্প্রতি ধর্মা প্রোডাকশনস, নেটফ্লিক্স ও সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনকে চিঠি পাঠানো হয়। তাঁদের দাবী, ছবির নির্মাতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত, ছবির স্ক্রিনিংও বন্ধ রাখা উচিত। নিজেদের দেশের এয়ারফোর্সকে কেন খারাপ ভাবে দেখানো হবে?

কিছু দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক হলেও জাহ্নবীর অভিনয়ের প্রশংসাই দেখা যাচ্ছে সবখানে। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবিতে এতটা প্রশংসিত না হলেও, নানা কারণে হয়েছিলেন সমালোচিত। তবে এই ছবিটির মাধ্যমে যেন নিজের জাত চিনিয়েছেন এই শ্রীদেবী কন্যা।

[ আরও পড়ুন : শান্তি পাক আত্মা, সুশান্তের জন্য যজ্ঞ রামদেবের ]

সিনেমাটির জন্য অনেকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিতে হয়েছে জাহ্নবীকে। সে কথা গণমাধ্যমে বেশ কয়েকবার বলেছেন তিনি। ভারতীয় এয়ার ফোর্সের প্রথম লেফটানেন্ট গুঞ্জন সাক্সেনাকে সিনেপর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন জাহ্নবী। গল্পের চরিত্রের সাথে নিজেকে মেলাতে কঠিন সব ট্রেনিং, ডায়েট, চিত্রনাট্যের দিকেই মনোযোগী ছিলেন তিনি। এমন চরিত্রটিজে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা মোটেই সহজ ছিল না তার জন্য। সে কথাই জানালেন জাহ্নবী।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় যখন কেউ দেশের জন্য কাজ করতে যায়, সে এটা ভাবে না যে আমি হিরো হবো। এটাই মাথায় থাকে যে দেশের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। আমি সেই কাজই করছি, যা আমি ভালোবাসি করতে। গুঞ্জন সাক্সেনার চরিত্রে নিজেকে ভেঙে গড়তে হয়েছে। একটি ছবির পরই গুঞ্জন সাক্সেনার বায়োপিকে কাজ করা একেবারেই সহজ ছিল না। তবুও পরিচালক শরণ শর্মা, সহ-অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি, অঙ্গদ বেদির সহযোগিতায় এই ছবিতে কাজ করাও সম্ভব হয়েছে।’

[ আরও পড়ুন : আমফান দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে বিজেপির বাংলা বাঁচাও অভিযান ]

ধর্মা প্রোডাকশন ও এসেল ভিশন প্রোডাকশন প্রযোজিত এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন শরণ শর্মা। জাহ্নবী কাপুর ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন অঙ্গদ বেদি, পঙ্কজ ত্রিবেদী, মানাভ ভিজ, ভিনিত কুমার প্রমুখ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button