Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জীবন যাত্রাস্বাস্থ্য

শিশুদেরকে করোনার ঝুঁকিমুক্ত রাখতে যা করবেন

শিশুদেরকে করোনার ঝুঁকিমুক্ত রাখতে যা করবেন

করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ। তবে করোনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কিন্তু পরিবারে যদি কোনো শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। শিশুদের থেকে বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ এবং ভাইরোলজিস্টরা। এর মধ্যে রয়েছে-

শিশুদের আলাদা রাখা

শিশুরা যেহেতু সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে খুব বেশি কিছু বোঝে না তাই পরিবারের অন্য সদস্য বিশেষ করে যারা বয়স্ক এবং যাদের অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদেরকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে দরজা বন্ধ রাখতে হবে যাতে শিশুরা কাছে আসতে না পারে।

বাইরে থেকে এসে সরাসরি শিশুদের সংস্পর্শে না যাওয়া

বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ তাই শিশুদের বাইরে যাওয়ার মাত্রাও কম। তাই সেক্ষেত্রে তাদেরকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্য যারা বাইরে যান তাদের থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। সম্পূর্ণভাবে ভাইরাস মুক্ত না হয়ে বা বাইরে থেকে এসে শিশুদের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না।

[ আরও পড়ুন : কতদিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন? ]

আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে আইসোলেশন করা

শিশুরা কভিড আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে তাদেরকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে আলাদা ইউনিট বা ব্যবস্থা করা যেতে পারে যেখানে শুধু শিশুদেরই আইসোলেশনে রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে সব শিশুদের মধ্যে উপসর্গ থাকবে বলে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হবে না।

পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক পরা

যেহেতু শিশুদের সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া অন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের আলাদা করে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

শিশুদের সচেতন করা

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা হেলেনা বেগম মনে করেন, কভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুদের মধ্যেও সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং বুঝিয়ে বলতে হবে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে যেসব পরিবারে কভিড রোগী রয়েছে সেসব পরিবারের বাচ্চাদের কিছু কিছু অভ্যাস মিনার কার্টুনের মতো বুঝিয়ে বলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

[ আরও পড়ুন : প্রাকৃতিক উপাদানেই খুশকি হবে নির্মূল ]

যেমন, শরীরের কোথায় কোথায় হাত দেয়া যাবে না, কোনো কিছু যেন তেনভাবে ফেলে রাখা যাবে না, কোথায় যাওয়া যাবে না। সেই সাথে শিশুদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে কী কী খাবার বেশি খেতে হবে। কোন কোন কাজগুলো বেশি বেশি করতে হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button