ঝাড়গ্রাম: বিধানসভা ভোটের আগে ঝাড়গ্রাম জেলার প্রশাসনিক পদে বদল করল রাজ্য সরকার। ঝাড়গ্রাম সদরের নতুন মহকুমাশাসক হলেন বিষ্ণুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি আগে পুরুলিয়ার মানবাজার মহকুমার শাসক ছিলেন।
ঝাড়গ্রামের বিদায়ী মহকুমাশাসক সুবর্ণ রায় পুরুলিয়ার ঝালদার মহকুমাশাসক পদে বদলি হয়ে গেলেন। সুবর্ণবাবু একজন প্রতিষ্ঠিত কবি ও সুলেখক। আড়াই বছরেই তিনি ঝাড়গ্রামকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। করোনা কালে ঝাড়গ্রাম শহর ও জেলায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি প্রশাসনিক স্তরে প্রশংসিত হন।
জেলা প্রশাসনে তিনি জেলাশাসক আয়েষা রাণীর অত্যন্ত আস্থাভাজন আধিকারিক ছিলেন বলে চর্চা ছিল। জেলাশাসকের অপছন্দের লোকজনের তিনি ফোন ধরতেন না বলে নানা মহল থেকে শোনা যেত। সংবাদ মাধ্যমের একাংশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল সুবর্ণবাবুর। যে কারণে প্রশাসনের সুনজরে থাকা সাংবাদমধ্যমে সুবর্ণবাবুর বেশিরভাগ প্রকাশ্য প্রশাসনিক কাজকর্মের লাইভ কভারেজ হতো।
আরও পড়ুন : বিজেপি ক্ষুধার্ত নেকড়ে, কটাক্ষ তৃণমূল মুখপাত্রের
সুবর্ণবাবু নিজে সাহিত্য জগতের মানুষ ছিলেন, তাই স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি তাঁর ছিল অসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। লকডাউনের সময় দিনরাত এক করে তিনি নিজে মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। বাইরে বেরোনো মানুষজনকে সচেতন করেছেন।
ঝাড়গ্রাম শহরের বিজয় সরকার খাবার হোম ডেলিভারির ব্যবসা করেন। বিজয় জানালেন, লকডাউনে ব্যবসা মার খেতে বসেছিল। রাস্তায় বেরোলে পুলিশ ধরত। সুবর্ণবাবু যখনই জানতে পারেন, বিজয় বহু প্রবীণ পুর নাগরিকের বাড়ি দুবেলা খাবার পৌঁছে দেন, সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের অনুমতিপত্রের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। ঝাড়গ্রামবাসীর অনেকেই বলছেন সুবর্ণবাবুর মত সজ্জন মানুষের সান্নিধ্যে এবার আরও ভাল পরিষেবা পাবেন ঝালদাবাসী।
আরও পড়ুন : বামফ্রন্টে আবার বড়সড় ভাঙন, লাল ছেড়ে গেরুয়াতে ২২ জন দাপুটে বাম নেতা
ঝাড়গ্রাম সদরের নতুন মহকুমাশাসক বিষ্ণুব্রত ভট্টাচার্যও অত্যন্ত দক্ষ আধিকারিক। জঙ্গলমহলে অশান্তি পর্বের সময়ে বেলিয়াবেড়া ব্লকে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। মানবাজার মহকুমায় দক্ষতার সঙ্গে মহকুমাশাসকের দায়িত্ব পালনের পরে এবার তিনি মহকুমাশাসক হিসেবে এই জেলায় এলেন।