Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
রাজনীতিরাজ্য

বিজেপি সভা থেকে সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

বিজেপি সভা থেকে সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

বিগত টানা দু মাসের জল্পনার পর গত শনিবার মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সভায় গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দলবদল করে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর এবার কার্যত বলা যেতেই পারে প্রচারে নেমে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।

মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা। সেই সভাতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারীও। প্রথম সভা থেকেই শাসক দলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন, ‘হারাবোই হারাবো, আমরা জিতবই, নতুন বাংলা গড়ব, সোনার বাংলা গড়ব, পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই’। ‘বাংলাকে নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিতে হবে’ বলেও মন্তব্য করেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী শুভেন্দু অধিকারীও।

পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বাসঘাতকও নয় মীরজাফরও নয়,’ তার তোপ ‘এই দলটা কম্পানিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে, এই দলটা আর রাজনৈতিক দল নেই। তাই যাদের আত্মসম্মানবোধ আছে তারা কখনও তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে না।’

পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, ‘বিজেপিতে যোগদানের আগে অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে তার যখন কথা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন, ‘বলেছি কোন শর্ত নেই, শর্ত একটাই তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান।’

‘কয়লা পাচার হয়ে গেছে ধরাও পড়ে গেছে, গরু পাচার হয়ে গেছে ধরাও পড়ে গেছে, অমিত শাহ টাইট দিয়ে দিয়েছে, BSF-কে দিয়ে। আর বালির গাড়িগুলো রাস্তাঘাট ভেঙে তছনছ। রাস্তায় রাস্তায় তোলা তোলা পাথর, বালি, গরু, কয়লা সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আগামী দিনে ফুলের মধ্যে দুটি ফুল থাকবে পিসি আর ভাইপো: লকেট চ্যাটার্জি।

এরা যদি জিততে পারে এবারে কিডনি পাচার বাকি আছে ওটাই হবে।’ এইভাবেই নাম না করে আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারীপাশাপাশি তার বক্তব্য, ‘ওই সরকারকে বিসর্জন দিতে হবে যা করার করব।

পার্টিকে বলব আমাকে এমএলএ-র টিকিট দেওয়ায় দরকার নেই ২৪-এর মধ্যে ১৬ ঘণ্টা খাটব। যেখানে বলবে যাব।’ এবং সেখান থেকে আবারও পরিবর্তনের পরিবর্তনের ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বেকার যুবক ভাই বোনেরা সব পার্মানেন্ট চাকরি তুলে দিয়েছে। ১৪ সাল থেকে এসএসসি (SSC) বন্ধ। টেটের কেলেঙ্কারি। গোটা বাংলায় ২ কোটি বেকার। আজকে সাড়ে ন বছর পরে যমের দুয়ারে সরকার।

কী পাবেন একটা ফর্ম সেটা ফিলআপ করে জমা দিলেন, জানুয়ারি পর্যন্ত এই নাটক চলবে। ফেব্রুয়ারি মাসে একটা কার্ড আসবে। কিন্তু টাকা পাবেন না। তাইতো বলি আয়ুষ্মান ভারতে যেতে গেলে বিজেপি চাই। ৭৩ লক্ষ কৃষকদের পরিবাররে ৬ হাজার টাকা পেতে গেলে বিজেপি চাই।

রাজ্যে শিল্প নেই। অন্ধকার। এই রাজ্যে পরিবর্তন দরকার। পরিবর্তনের আর একটা পরিবর্তনের জন্য মাঠে নেমেছি।’ বলেও জানান শুভেন্দু অধিকারী।

পাশাপাশি সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আর তৃণমূল কংগ্রেস কম্পানিকে বলব তার নেত্রীকে বলব নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রী হলে ২০০১ সালে হতেন। নন্দীগ্রামের ওই শবদেহগুলির উপর দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

আর যে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল করেছিলেন সেই কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছিল ২০১১-তে।’ অন্যদিকে তিনি জানান, ‘ওই নির্বাচনে পরোক্ষভাবে বিজেপিরও হাত ছিল তাই পরিবর্তন হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘বিজেপি বলেছিল তোমরা পারলে পদ্মফুলে দাও না পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাও, কারন এই অত্যাচারি কমিউনিস্ট রাজ খতম হওয়া দরকার।’

এরপরই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তাই পরিবর্তনের আর একটা পরিবর্তন চাই রাজ্যটাকে মোদিজির হাতে তুলে দিতে হবে। শিল্প আনতে হবে বেকারদের চাকরি দিতে হবে সমকাজে সমবেতন দিতে হবে সব পঞ্চায়েতের কাজের দুর্নীতি ফাঁস করতে হবে।’

এই ভাবেই প্রথম দিনের সভা থেকেই রাজ্য সরকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেত্রীকেও ছাড় দিলেন না শুভেন্দু অধিকারী।

সুত্র: প্রথম কলকাতা

আরও পড়ুন ::

Back to top button