ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা: অভিষেক
পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই। তাই পাহাড়ে শাসক শিবিরের আধিপত্যকে আরও জোরদার করতে আসরে নামলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চারদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে তিনি।
সোমবার বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে উত্তরকন্যায় যান। ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে পাহাড় সফরে অভিষেক।
সফরের প্রথম দিনেই সন্ধে থেকে কমপক্ষে চার ঘণ্টা ধরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সারেন অভিষেক। প্রথমে শিলিগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক ছিল।
উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী গৌতম দেব, জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি কুন্তল রায়, জেলা মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত-সহ আরও অনেকে।
ওই বৈঠক শেষে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের যুব তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। সূত্রের খবর, সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে যাতে একজনও বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেন।
পাহাড়ের কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি কর্মীরা পৌঁছতে না পারলেও তৃণমূল কর্মীরা যাতে সেখানে এগিয়ে যান, সেই নির্দেশও দিয়েছেন অভিষেক। বিরোধীদের কুত্সা রুখতে উন্নয়নমূলক কাজকেই হাতিয়ার করার কথাও বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘কিসান সম্মান নিধি’তে সম্মতি মমতার
আগামিকাল অর্থাত্ মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রথমে একটি দলীয় অনুষ্ঠান এবং পরে দলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। রাতে অবশ্য আবারও শিলিগুড়িতে ফিরে আসার কথা।
বুধবার জলপাইগুড়ি সফরে যাওয়ার কথা অভিষেকের। দলীয় সভার পর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরে যাবেন। গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম মাঠে জনসভা রয়েছে তাঁর।
সেই অনুষ্ঠান সেরে ফের শিলিগুড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা অভিষেকের। ৮ জানুয়ারি, শুক্রবার উত্তরকন্যায় একটি বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরবেন তিনি।
গত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে সেভাবে ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল। মোদি ম্যাজিকে বেশ কিছু আসন হাতছাড়া হয়েছিল।
তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ওই আসনগুলি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এড়াতে সংগঠনকে নিয়ে ভোটের রণকৌশল স্থির করতেই অভিষেকের উত্তরবঙ্গ সফর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সুত্র: সংবাদ প্রতিদিন