পর্ণোগ্রাফির মানে কি?
বিশ্ব সাতিহ্যেই হোক কিংবা আলোকচিত্রে- পর্ণোগ্রাফির অস্তিত্ব কিন্তু বহু আগের। তবে চলচ্চিত্রে এর অস্তিত্ব দেখা যায় ১৯২০-এর দশকে। তবে পর্ণো চলচ্চিত্রকে কেবল নিরেট যৌ’ন কর্মের প্রদর্শনী হিসেবে দেখলে অতি সরলীকরণ করা হবে। পর্ণো’গ্রাফি নারীকে বস্তুকরণ করে। পীড়ন করে। অপদস্ত করে।
অন্যদিকে পুরুষের সহিংসতা আর ক্ষমতার বন্দনা করে। আর নারী একটি যো’নী কেন্দ্রীক ইমেজ উপস্থাপন করে। সে আবেদনময়ী, সমর্পিত, অর্পিত, অক্রিয়।
তাহলে দেখা গেলো, পর্ণোগ্রাফিতে নারী আসলে পুরুষ যেমন চায় তেমন। যেখানে নারী না বলবে না। পুরুষ যেভাবে চাইবে নারী সেভাবেই আসন গ্রহণ করবে। স্বরবিহীন, সদাপ্রস্তুত।
পর্ণোগ্রাফি সম্পর্কে বিখ্যাত নারীবাদি লেখক দোরকিন বলেছেন, পর্নোগ্রাফি দেখায়- নারী বিক্ষত, ধর্ষিত, মর্দিত হতে চায়। সে পিড়ীত হতে চায়, ব্যাথা পেতে চায়। আবার ম্যাককিনন বলেছেন, পুরুষ যৌনতাকে যেভাবে পেতে চায় পর্ণোগ্রাফি সে ব্যবস্থা করে দেয়।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট