কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেও ধাক্কা খেলেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতি পদ থেকে সরানো হল নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। ৯ বছর ধরে এই পদে ছিলেন তিনি। সোমবার ইউনিয়নের বৈঠকে ধ্বনি ভোটে তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়। এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বিজেপি নেতা।
এদিকে, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের পর্যবেক্ষণে সেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁকে সরানোর জন্য ডাকা অনাস্থা বৈঠক সোমবার বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সমবায় ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত জোড়া মামালার একটায় স্বস্তিতে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
সোমবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি শম্পা সরকার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা নিয়ে যে বৈঠক, পদ্ধতিগত ভাবে তাতে ত্রুটি রয়েছে। চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে এই ধরনের বৈঠক ডাকা যায় না। তার জন্য নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হয়।
এমনকি সেই কারণের সপক্ষে যথাযথ প্রমাণও থাকা দরকার। এক্ষেত্রে তার কোনওটিই মানা হয়নি।‘ এই যুক্তিতে ওই বৈঠক খারিজের নির্দেশ দেন বিচারপতি। ফলে আপাতত চেয়ারম্যান হিসেবে থাকতে আর কোনও বাধা রইল না শুভেন্দুর। তবে ইউনিয়নের সভাপতি পদ খোয়ালেন তিনি।
এর আগে কাঁথি-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্কে স্পেশাল অডিটের নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। শুভেন্দুই ছিলেন সেই ব্যাঙ্কগুলির মাথায়। জুলাই মাসে রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশের উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। সেই সময়ও বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে এই মামলা ওঠে। তিনি রায়ে জানিয়েছিলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নিয়মিত অডিট রিপোর্ট পাঠায় কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক। কোনও আর্থিক গরমিলের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে এখনই স্পেশাল অডিটের প্রয়োজন নেই।
সূত্র : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস