সংসদের অবমাননার অভিযোগ, রাজ্যসভায় সাসপেন্ডেড তৃণমূলের ৬ সাংসদ
শান্তনু সেনের পর আরও ছ’জন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। তাঁরা হলেন, নাদিমুল হক, আবির বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ এবং মৌসম বেনজির নূর। তবে শান্তনু সেনকে পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হলেও এই ছয় সাংসদকে শুধুমাত্র আজকের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
শান্তনুর ক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল গুরুতর। পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রীয় রেল ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ যখন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা শুরু করতে যাবেন তখনই নিজের আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে তাঁর কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে, তা ছুড়ে দেন স্পিকারের আসনের দিকে। কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, যে কাণ্ড তৃণমূল সাংসদ ঘটিয়েছেন তা ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের গৌরবময় ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা।
এদিন দোলাদের ক্ষেত্রেও রাজ্যসভার অধিবেশনে নিয়ম বিরুদ্ধে ভাবে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন, হট্টগোল পাকানো ইত্যাদির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ছয় তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্যসভা। প্রথমে শান্তনুকে পুরো অধিবেশন সাসপেন্ড, তারপর ডেরেক ও’ব্রায়েনের পাপড়িচাট মন্তব্য নিয়ে জাতীয় রাজনীতি সরগরম হওয়া এবং এদিন আরও ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড— সব দেখে অনেকেই বলছেন সংসদয়ের বাদল অধিবেশন কার্যত বঙ্গ রাজনীতির বক্সিং রিংয়ে পরিণত হয়েছে।
এ রাজ্যেও যে ভাবে তৃণমূল বনাম বিজেপি লড়াই চলছে তেমন সংসদেও একই ছবি। সংসদে কেন্দ্র বিরোধী আগ্রাসী মনোভাব এবং একের পর এক ঘটনায় বিরোধী দলগুলির মধ্যে তৃণমূল যে সমস্ত আলো শুষে নিয়েছে এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তৃণমূল গোটা ব্যাপারটাকে নিজেদের রাজনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখতে চাইছে।
রাজ্যসভার অধিবেশনে আইন পাশকে পাপড়িচাট বলে মন্তব্য করেছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তা নিয়ে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, ‘যে ভাষায় তৃণমূল সাংসদ কথা বলেছেন তা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। এতই তাঁর ঔদ্ধত্য যে তিনি ক্ষমাও চাননি।’
সূত্র : দ্য ওয়াল