মানুষের থেকে আমি যা ভালোবাসা পেয়েছি, তা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও পাননি: মদন মিত্র
জোড়াসাঁকো থেকে ভবানীপুরের দূরত্ব কত কিলোমিটার? গুগল বলছে মেরেকেটে ৭ কিলোমিটার। কিন্তু এবার সেই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রবীন্দ্রনাথের আসনে নিজেকে বসালেন ভবানীপুরের বাসিন্দা তথা কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। কী বললেন তিনি? বললেন তিনি মানুষের যা ভালবাসা পেয়েছেন, তা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও পেয়েছেন বলে মনে করেন না তিনি। বাংলার রাজনীতিতে বরাবরের রঙিন চরিত্র মদন মিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অত্যধিক জনপ্রিয়। তাঁর ফেসবুক লাইভ দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন এক ঝাঁক অনুরাগী। মানুষের এমন সমর্থন পেয়েই আপ্লুত কামারহাটির বিধায়ক। এদিন একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, আমি তো মন্ত্রী নই, আমি এক লাখ ভোটেও জিতিনি। তবে আমি মানুষের যা ভালবাসা পেয়েছি, রবীন্দ্রনাথও তত পাননি। বাংলাদেশে অশান্তি: কী করে চোখের সামনে ঘটতে দিলেন হাসিনা! ট্যুইট ক্ষুব্ধ জাভেদ আখতারের এখানেই শেষ নয়। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন : রাতভর বৃষ্টির জের, জলমগ্ন রাজ্যের একাধিক এলাকা, ক্ষোভ প্রকাশ জনসাধারণের
মদন বলেন, রবীন্দ্রনাথের সময়কালে জনসংখ্যা অনেক কম ছিল। তিনি হয়তো লক্ষ মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন। কিন্তু আমি পেয়েছি কোটি। মদন মিত্রের জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে চোখের সানগ্লাস, অনেকেই তাতে মুগ্ধ। তাঁর জনপ্রিয়তার বহর দেখে তাঁকে নিয়ে বড়পর্দায় ছবিও বানানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে।
একটা নয়, জোড়া বায়োপিক আসছে মদনের। তার মাঝেই এমন মন্তব্য করে বসলেন কামারহাটির বিধায়ক। মদন মিত্রের এই মন্তব্য শুনে বিজেপির এক নেতা কটাক্ষ করে বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পেয়েছিলেন। আর সারদা কেলেঙ্কারিতে মদন মিত্র একাধিকবার পেয়েছন নো-বেল (জামিনের আবেদন নামঞ্জুর)।
সুত্র : দ্য ওয়াল