রাজ্য

এবার আবাসনের ছাদে বাজি ফাটালেই ধরবে পুলিশ, কঠোর পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

এবার আবাসনের ছাদে বাজি ফাটালেই ধরবে পুলিশ, কঠোর পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে - West Bengal News 24

শব্দবাজি পোড়ানো ও বিক্রি (Firecrackers) করা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এ রাজ্যে সব রকমের বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যেই শহরে অবৈধ বাজি বিক্রি ও বাজি ফাটানো রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে লালবাজার। সূত্রের খবর, বড় বড় আবাসনগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে।

আবাসনে বাজি পোড়ানো একেবারেই নিষিদ্ধ, ছাদে উঠে বাজি ফাটাতে দেখলেই ধরবে পুলিশ। তাছাড়া শহরের রাস্তাতেও নজরদারি চালাবে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকার বলেছেন, আবাসনের ছাদ থেকে যদি বাজি ফাটাতে গিয়ে কেউ ধরা পড়ে তাহলে সেই আবাসনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তিনি জানান, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ যাতে কড়াভাবে মানা হয় সে জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

বড় বড় আবাসনগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পুলিশ কর্তারা। কোনও আবাসনেই যাতে বাজি পোড়ানো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আবাসনের কর্তৃপক্ষকে। শহরে শব্দবাজি যাতে না ঢুকতে পারে সে জন্য গত কয়েকদিন ধরেই পুলিশ পিকেট চালু করা হয়েছে। শহরের নানা জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আজ শনিবারই জোড়াসাঁকো এলাকার একটি গোডাউন থেকে ৫৪০ কিলোগ্রামের মতো বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধরা পড়েছে দু’জন।

আরও পড়ুন : এবার কলকাতায় কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ আর দেবে না পুরসভা, জানুন বিস্তারিত

লালবাজার সূত্রে খবর, উত্‍সবের মরসুমের শেষ না হওয়া পর্যন্ত শহরের নানা প্রান্তে নজরদারি চলবে। বিশেষ করে বাজি বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ এলাকাগুলিতে বাড়তি সতর্কতা থাকবে। গোপনে কেউ নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করতে যাতে না পারেন, তার জন্য পৃথক পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর সঙ্গেই ডিভিশনাল ডিসিদের বিশেষ দল বাজি বিক্রির উপরে নজরদারি চালাবে শহর জুড়ে। পাশাপাশি, প্রয়োজন পড়লে পুলিশ পিকেটের সংখ্যাও সংখ্যাও বাড়ানো হবে। নজরদারি চালানোর জন্য শহরের নানা জায়গায় নাকা পয়েন্টও তৈরি করা হয়েছে।

সেখানে চার থেকে পাঁচ জন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। গত বছরও বাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিল হাইকোর্ট। তারপরেও শহরের নানা জায়গা থেকে অবৈধভাবে বাজি বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে অনেকে। নির্দেশ অমান্য করে কয়েকটি জায়গার আবাসনে বাজি ফাটানোও হয়। জয়েন্ট সিপি শুভঙ্করবাবু বলছেন, শব্দবাজির সঙ্গে আতসবাজির দাপটেও পরিবেশ দূষিত হয়। তাই সব রকম বাজি পোড়ানো বা বিক্রি যাতে বন্ধ থাকে সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া হবে।

কালীপুজোর রাতে শহরের পথে নামবে পুলিশ। অনেক গলিঘুঁজিতে লুকিয়েচুরিয়ে বাজি ফাটানো চলে। উঁচু আবাসনগুলির ছাদেও বাজি ফাটানো হয়। সবদিকেই নজর থাকবে পুলিশের। ধরা পড়লেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

সুত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button