বিমানের ভাড়া বৃদ্ধির দায় কার?: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যকে জ্বালানি তেলের উফর থেকে ভ্যাট কমানোর আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপরই এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রেশ টেনে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিকে তোপ দেগেছিলেন বিমানের জ্বালানির উপর উচ্চহারে ভ্যাট ধার্য করায়।
আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পালটা ‘দাওয়াই’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাক্তন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী বৃহস্পতিবার এক টুইটে লেখেন, ‘বাংলা, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র বিমানের টারবাইন ফুয়েল (এটিএফ) এর উপর ‘ব্যাপক’ ২৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এবং জম্মু ও কাশ্মীর মাত্র ১ শতাংশ ভ্যাট চার্জ করে এটিএফ-এর উপর। কখনও ভেবেছি কেন বিমান টিকিটের দাম কমেনি.।’ এর জবাবে কেন্দ্রকে পালটা তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর সাফ কথা, ‘রাজ্যগুলির দিকে আঙুল তোলার আগে কেন্দ্রের উচিত, বিমানের ভাড়া কমানোর জন্য বিমানের জ্বালানি বা এটিএফের উপর উত্পাদন শুল্ক, অতিরিক্ত উত্পাদন শুল্ক ও অন্তঃশুল্ক কমিয়ে যথাক্রমে ৫ শতাংশ, ১১ শতাংশ ও ১১ শতাংশ করা হোক।’এদিকে বৃহস্পতিবার রান্নার গ্যাস-জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়েও ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অবিলম্বে রান্নার গ্যাসের দাম ৩০০ টাকা কমানো উচিত বলেও মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই হারে তেল এবং গ্যাসের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। গ্যাসের দাম না কমানো হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র একতরফা ভাবে রাজ্যের উপর দায় চাপাচ্ছে। রান্নার গ্যাসের দাম অবিলম্বে ৩০০ টাকা কমানো উচিত বলে মনে করি। কেন্দ্র তা করছে না কেন?’