‘ক্ষমতা না থাকলে আসো কেন?’
অভিনেত্রী দীপিকা সিং (Deepika Singh) স্টার প্লাসের ধারাবাহিক ‘দিয়া অর বাতি হাম’ ( Diya Aur Baati Hum) দিয়ে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। সম্প্রতি কথা বললেন ছোটবেলায় পরিবারের আর্থিক সমস্যা নিয়ে। শুধু তা-ই নয়, জানালেন সেই সময়ের টালমাটাল অবস্থার কারণে কিভাবে স্কুলেও তাঁকে শুনতে হতো কটাক্ষ।
দিল্লির এক যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠেন দীপিকা।
পরিবারের আর্থিক সংগতি সে রকম ভালো ছিল না। তিনিই ছিলেন বড় সন্তান। একদিন তাঁকে আর তাঁর তিন ভাই-বোনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্কুল থেকে, স্কুল ব্যাগ ছাড়া। কারণ সময়মতো বাসভাড়া দিতে পারেনি তাঁর পরিবার।
দীপিকা বলেন, ‘আমি স্কুলের পর বাবার কারখানায় যেতাম, কারণ বাস আমার বাড়ি পাহারগঞ্জ যেত না। আমি ক্লাস এইট পর্যন্ত এয়ারফোর্সের স্কুলে ছিলাম, পরে যাই সরকারি স্কুলে। আমি নিজেই সেই স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে গিয়েছিলাম, নিজের মার্কশিট দেখিয়েছিলাম এবং নিজেই ভর্তি হয়েছিলাম। আসলে বাবা চাইত না আমি আগের স্কুল ছেড়ে দিই। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম আর্থিক সমস্যার কারণে স্কুলের ফি দেওয়া হচ্ছে না সময়ে। আমাকে তো সেই এরারফোর্স স্কুলের প্রিন্সিপাল এমনও বলেছিলেন, ‘তোমার যদি ক্ষমতা না-ই থাকে তাহলে এত বড় স্কুলে কেন এসেছ?’
আরও পড়ুন :: এবার ছোট পর্দায় পরিচালনায় রাজীব! শ্রাবন্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদ কেরিয়ারে প্রভাব কতটা ?
‘ওটাই আমার কাছে ছিল একটা ধাক্কা। তখনই ঠিক করেছিলাম এত বড় কিছু করব যে স্কুলকেও পরে পস্তাতে হয়’, জানান ‘দিয়া অর বাতি হাম’ অভিনেত্রী।
![Deepika Singh : ‘ক্ষমতা না থাকলে আসো কেন?’ - West Bengal News 24 Deepika Singh : ‘ক্ষমতা না থাকলে আসো কেন?’ - West Bengal News 24](http://westbengalnews24.com/wp-content/uploads/2022/09/FbANL8nWIAASdET.jpg)
দীপিকা আরো বলেন, ‘আমি এত কিছু দেখেছি যা আমাকে আরো বেশি স্ট্রং করে তুলেছে। আমার বাবার এমব্রয়ডারির কারখানা ছিল, কিন্তু ব্যবসায় অনেক লস হয়। একটা শিপমেন্ট একবার পাঠানো হয় মুম্বাই থেকে আমেরিকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তখনই প্লেগ ছড়ায়। আর ওই গোটা পার্সেল পুড়িয়ে ফেলা হয় এটা ভেবে যে ওতে জীবাণু থাকতে পারে। অনেক লোন ছিল বাবার মাথায়। সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিল বাবা প্রায়। তাও চালিয়ে নিয়েছিল দুই-তিন বছর ওভাবে, তবে একটা দুর্ঘটনায় বাবা শয্যাশায়ী হয় প্রায় এক বছর। বাড়িতে যৌথ পরিবার হওয়ায় অভাব সেভাবে বুঝিনি, তবে স্কুল বুঝিয়ে দিত মাইনে দিতে না পারলেই। কটাক্ষ করা হতো। একবার তো আমাকে আর আমার বোনকে স্কুলের ব্যাগ ছাড়াই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাসের ভাড়া বাকি রয়ে গিয়েছিল বলে। তখন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের সময় আর আগের মতো নেই। ’
২০১১ সালে ‘দিয়া অর বাতি হাম’ দিয়ে টিভিতে অভিষেক করেন। ২০১৪ সালে ওই শোর পরিচালক রোহিত রাজ গোয়েলকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের ছেলে হয় ২০১৭ সালে। সম্প্রতি টিটু আম্বানির সঙ্গে বলিউডে অভিষেক করেছেন দীপিকা। এই সোশ্যাল ড্রামা ঘরানার সিনেমা লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন তাঁর স্বামী রোহিত। অভিনয় করবেন তুষার পাণ্ডের বিপরীতে।