“গত ১৬ মাসে আমার বিরুদ্ধে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ২১টি মামলা দায়ের হয়েছে। আর মামলায় জর্জরিত করতে কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি-সহ বড় বড় আইনজীবীদের ২০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কতটা ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ’, সেই অভিযোগ করতে গিয়েই সোমবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিধানসভার বাইরে এদিন রাজ্যের আর্থিক দুরাবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক তোপ দাগছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সময়েই এই বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, “২ মে’র পরবর্তী সময়ে আমার এবং আমার ভাই(সৌমেন্দু) সহ কিছু নিরপরাধ লোককে আমার ঘনিষ্ঠ আখ্যা দিয়ে একাধিক মামলা করা হয়েছিল। সেগুলির জন্য কপিল সিবাল, মনু সিংভি, সিদ্ধার্থ সিং এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের মিলিয়ে রাজ্য সরকার প্রায় ২০ কোটি টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন :: পুজোর আগে আরও ৬৫ জন টেট উত্তীর্ণকে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
গত ১৬ মাসে আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলি করতে এই বিপুল পরিমাণ পেমেন্ট করেছে।” রীতি মতন ক্ষোভ প্রকাশ করে এও বলেন, “অপরাধ একটাই। ওনার দেওয়া সমস্ত পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া। এরপর নন্দীগ্রামে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া।” সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এ কথাও বলেন, “তিনি বলেছেন, প্রতিহিংসা নাকি তিনি নেন না। এর থেকে বড় উদাহরণ আর কোথাও পাবেন না।”
যদিও শুভেন্দুর এই অভিযোগ ও দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। এ বিষয়ে দলের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘‘ওঁর (শুভেন্দু) কথার কোনও সারবত্তা নেই।’’
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পাল্টা সুর চড়ান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “অনেক বেশি হওয়া উচিত ছিল। অভিযোগ যদি থাকে, মামলা হয়েছে। সে তো আদালতে বুঝবেন। বাইরে চেঁচাচ্ছেন কেন?” কিন্তু টাকা খরচের বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি।
এর পাশাপাশি বিজেপির উদ্দেশ্যে শাসকদলের প্রশ্নবান, কেন্দ্রের মোদী সরকার তো তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। সেই টাকা তা হলে কোথা থেকে আসছে?