সম্পর্ক

প্রতারিত হওয়ার যন্ত্রণা, কী করতে পারেন

প্রতারিত হওয়ার যন্ত্রণা, কী করতে পারেন

বিশ্বাসঘাতকতা একটি জটিল এবং বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা। এর ফলে ছেলে এবং মেয়ে দুজকেই মূল্য দিতে হয়। এ ধরনের ঘটনা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়, যেমন :

* আমার কী নেই? আমি কি ওর জন্য যথেষ্ট নই?
* আমার পুরো বিয়েটাই কি একটি মিথ্যার ওপর ছিল?
* আমি কি আবার কাউকে বিশ্বাস করতে পারব?
* কেন আমার সঙ্গে এমন হলো? আমি কেন এই প্রতিদান পেলাম?

এমন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে কোনো বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। কারণ রাগ বা হতাশার মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

বরং কেন এমন হলো সেটা নিয়ে গভীরে তদন্ত শুরু করার আগে আপনার মানসিক অবস্থার যত্ন নিন। নিজেকে হালকা করার চেষ্টা করুন। এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ভাবুন। এর পরেই চিন্তা করুন কী করবেন।

আরও পড়ুন :: বিয়ের পরে যেসব কারণে শারীরিক দূরত্ব বাড়ে

মনের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষজ্ঞরা যা পরামর্শ দিয়েছেন

** আপনার সঙ্গী প্রতারণা করছে এটি আপনি জানেন। এই নিয়ে অনেকেই পরামর্শ দেবে। বলবে আলাদা হয়ে গিয়ে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে মিটমাট করে নাও। কারণ এর পরের জীবন তুমি কিভাবে চলবে। এই বিষয়টা আসলে দুজনের ওপর। দুজনের মনের অবস্থার ওপর। প্রতারণা করেছে জেনেও কি তারা বাকি জীবন একসঙ্গে থাকতে পারবে? সিদ্ধান্ত যেটাই নেবেন, সময় নিয়ে ভেবে নিতে হবে। একসঙ্গে থাকবেন কি থাকবেন না। আপনার বন্ধু বা বাবা-মায়ের বাড়ি বা একটি নিরাপদ স্থানে নিরিবিলি পরিবেশে যেতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রথম কয়েকটি কথোপকথন তাদের সঙ্গেই করুন, যারা আপনার ভালো চায় আর কিছুই না। যে আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে। আপনার সিদ্ধান্তটি সঙ্গীকে আঘাত করবে বা কিভাবে নেবে ভেবে অনুশোচনা করা উচিত নয়। কারণ সংসার করে এখনো হয়তো মায়া কেটেনি।

প্রতারিত হওয়ার যন্ত্রণা, কী করতে পারেন

** বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা অবিশ্বস্ততা এমন একটি পরিস্থিতির জন্ম দেয়, যা অন্যদের কাছে বেশ চর্চার বিষয়। চারদিক থেকে অবাঞ্ছিত উপদেশ এবং অসহায় অবস্থাতে সহানুভূতি আসছে। কিন্তু সঠিক সমাধান পাচ্ছেন না। বাবা-মাও কী করবেন বুঝতে পারছেন না। কারো কাছেই যদি কোনো সাহায্য না পান। একেবারে শেষে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। যেহেতু তারা এ ধরনের সমস্যায় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যা আপনাকে সঠিক পথটা দেখিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে।

** আপনার সঙ্গী আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ করার পর তার সঙ্গে সহানুভূতিশীল হওয়া আপনার পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। এটা হতে পারে। প্রতিশোধ নিতে হবেই এমনও ভাবার দরকার নেই। আপনাকে ক্ষমা করতে হবে বা সে যা করেছে তা ভুলে যেতে হবে এমন নয়। প্রতিশোধ নিতে গেলে আপনার মনের ক্ষত কোনো দিন মুছবে না, তা আরো গভীর হবে। তাকে চিরকালের জন্য ‘অপরাধী’ হিসেবে দেখা মানে নিজেকে চিরকাল ‘শিকার’ হিসেবে দেখা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button