জন্মদিনও কাটাতে হল জেলের নিঃসঙ্গতায়, নিঃসঙ্গ পার্থ
একসময় ব্যাপক ধুমধাম করে তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা হতো। তবে মা এবং স্ত্রীর প্রয়াণের পর থেকে সেই অনুষ্ঠানের বদল এসেছে। আর এবার জন্মদিন কাটল সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশে। অবশ্য দুর্গাপুজোও তিনি কাটিয়েছেন এই একই পরিবেশে। হ্যাঁ কথা হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে।
জেলের বন্দিদশায় নিঃসঙ্গ অবস্থা, নেই কোনও আলোর ঝলকানি, বন্ধু, বান্ধবী শুভানুধ্যায়ী। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী দশায় কাটল জন্মদিন। প্রেসিডেন্সি জেলে নিজের ওয়ার্ডেই জন্মদিন কাটালেন তিনি। এ বছর ৭০ বছর পূর্ণ করে ৭১ বছরে পা দিলেন পার্থ। ১৯৫২ সালের ৬ অক্টোবর জন্ম তাঁর।
আরও পড়ুন :: পুজোর কার্নিভাল নিয়ে ২৫ দফা গাইডলাইন জারি নবান্নের
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে বিরোধী দলনেতা ও ২০১১ সাল থেকে হেভিওয়েট এই মন্ত্রীর নাকতলার বাড়ি থেকে বেহালা পশ্চিমের ম্যান্টনের অফিসে থাকত কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে অনুগামী-শুভানুধ্যায়ীদের ভিড়। কোনও সময় শারদোৎসবের তিথিতে তাঁর জন্মদিন পড়লে, সেই সময় নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজো উদ্যোক্তারা তা পালন করতেন। পুজোর মঞ্চে পার্থ হাজির হতেন জন্মদিন পালনে। কখনও তাঁর জন্য আনা হত ফিটন গাড়ি। কাটা হত এল লাইফ সাইজের কেকও।
কিন্ত গত বছর তাঁর মায়ের মৃত্যুর কারণে নিজেই জন্মদিনের আয়োজন থেকে বিরত থেকেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাতে অবশ্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা থেমে থাকেনি। বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী ও অনুগামীরা তাঁকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন শাসকদলের হেভিওয়েট এই নেতাকে। বেহালার দলীয় কার্যালয়ে কেকও কাটা হয়েছিল। ওইদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পার্থ-বান্ধবী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও।
বর্তমানে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও জেলবন্দি রয়েছেন। ভাগ্যের পরিহাসে এ বছর জেলেই কাটল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্গা পুজো এবং জন্মদিনও। অথচ তাঁর মা শিবানী চট্টোপাধ্যায় ও স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় বেঁচে থাকাকালীন প্রতি বছর বাড়িতে পায়েস খেয়ে জন্মদিন পালন করতেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজনে কোনও খামতি থাকত না।