জাতীয়

হিন্দি ছাড়া এবার বাংলা ভাষাতেও পড়া যাবে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং, জানালেন অমিত শাহ

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Amit Shah : হিন্দি ছাড়া এবার বাংলা ভাষাতেও পড়া যাবে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং, জানালেন অমিত শাহ - West Bengal News 24
ডাক্তারি পাঠ্যক্রমের প্রথম হিন্দিতে অনূদিত বইয়ের উদ্বোধন করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছবি পিটিআই

ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে ইংরেজি ভাষা জানতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা আর রইল না। রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দিতেও পড়াশোনা করা যাবে এই পড়া। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি বাংলা, তামিল-সহ আরও ছ’টি ভাষাতেও এই দুটো কোর্স পড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

সোমবার দেশে ডাক্তারি পাঠ্যক্রমের প্রথম হিন্দিতে অনূদিত বইয়ের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই ১০টি রাজ্য তামিল, তেলুগু, মরাঠি, বাংলা, মালয়ালম ও গুজরাতি ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের বই অনুবাদ শুরু হয়েছে। এও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, গুজরাতি, বাংলার মতো আঞ্চলিক ভাষায় মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর ডাক দিয়েছিলেন। শিবরাজ সিংহ চৌহানের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রথম সেই ইচ্ছে পূরণে পদক্ষেপ করেছে। ইতিহাসে আজকের দিনটি সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।’’

আরও পড়ুন :: কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রায় ১০০ হিন্দু, নিপীড়নের অভিযোগ

এদিন এমবিবিএস প্রথম বর্ষের অ্যানাটমি, মেডিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি ও মেডিক্যাল ফিজিয়োলজির হিন্দি অনূদিত বই উদ্বোধন করেন অমিত শাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং জানান, পারিভাষিক শব্দগুলি ইংরেজি উচ্চারণ অনুসরণ করে হিন্দিতে লেখা হয়েছে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের ডাক্তারি শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সারঙ্গ জানান, ৯৭ জন বিশেষজ্ঞ ২৩২ দিন ধরে গান্ধী মেডিক্যাল কলেজে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করে এই বইগুলি অনুবাদ করেছেন। খুবই সহজ-সরল ভাষায় বইগুলি লেখা হয়েছে বলে দাবি এক অনুবাদকদের।

তবে, সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক তরুণকান্তি নস্করের কথায়, আসলে ঘুরিয়ে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলা, হিন্দি বা অন্য কোনও ভারতীয় ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া এখনই সম্ভব নয়। এর ফলে ভারতীয় পড়ুয়ারা শুধু যে কারিগরিবিদ্যার বিশাল জ্ঞানভান্ডার থেকে বঞ্চিতই হবেন তা নয়, উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রেও তাঁরা বাধার সম্মুখীন হবেন।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button