“কোথাও তো থাকতে হবে। মেয়েরা তো আর রাস্তায় পড়ে থাকতে পারি না”। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে জলপাইগুড়ির মালবাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাত্রকালীন থাকার জায়গা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের জবাব এভাবেই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্গাপুজোর দশমীর দিন হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ির মালবাজারে পৌঁছোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাতে তিনি সেখানেই ছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং নিহতদের পরিবার ও উদ্ধারকারীদের হাতে সাহায্য তুলে দিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
জলপাইগুড়ির মালবাজারে তাঁর থাকার ব্যবস্থা দলীয় বিধায়ক দুলাল দাসের খামারবাড়িতে করা হয়েছিল। তবে তার আগে, খামারবাড়িতে ‘নিরাপত্তা’র খাতিরে কিছু মেরামতি বা সংস্কারের কাজ হয়। আর এই সংস্কার নিয়ে ওঠা বিতর্কের জবাব দিয়েছেন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে।
আরও পড়ুন :: টেট আন্দোলন ‘বিচারাধীন বিষয়’, প্রশ্নের জবাব মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “মালবাজারে সরকারি থাকার জায়গা কোথায় ? সরকারের টাকা খরচ করে হোটেলে থাকি না। তাই আমি বাধ্য হয়ে…আর দুলালদা নিজে চলে এসেছেন…এটা আমার এমএলএ-র বাড়ি ৷ আমার জন্যই ওরা বসেছিলেন ৷…রাতে কীর্তন শুনে কেটে গিয়েছে ৷ তবুও তো একটা জায়গায় থাকতে হবে ৷ মেয়েরা তো রাস্তায় পড়ে থাকতে পারে না ৷’’
এদিন ‘কম বাজেটে’ মালবাজারে অতিথি নিবাস তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী টুইটেই বিঁধেছেন মমতাকে। শুভেন্দুর অভিযোগ সরকারি অর্থে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি সংস্কার করা হচ্ছে। এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে হোটেল আছে, মুখ্যসচিব-সহ আধিকারিকেরা সেখানে উঠেছেন। ভোটের সময় আমিও উঠেছিলাম। কিন্তু হোটেলে থাকতে চাই না। সরকারের পয়সা খরচ করব কেন?”
অবস্থানের দিক থেকেও মালবাজারের গুরুত্বর কথা বিবেচনা করে সেখানে অতিথি নিবাসের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো জমি দেখা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। সরাসরি মমতাকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জন্য সরকারি টাকার অপচয় শুভেন্দু অধিকারী চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। তারপরে এখন সরকারি অতিথি নিবাস তৈরি হবে মালবাজারে।”