‘গ্রুপবাজি’ চলবে না’। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দলের নেতা–কর্মীদের বার্তা দিয়ে হুঙ্কার ছাড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বলে অনুব্রত ওরফে কেষ্টকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। শনিবার তাঁকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। কিন্ত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক। সওয়াল–জবাব পর্ব শেষে সেখানে দেখা করতে এসেছিলেন বীরভূমের নলহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ, দলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়-সহ জেলার তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-কর্মীও।
পঞ্চায়েত ভোটে দলের রণকৌশল নিয়ে সেখানেই দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিতে দেখা গেল কেষ্টকে। তিনি যে চিরদিন জেলে থাকবেন না, সে কথাও দলের লোকজনকে স্মরণ করিয়ে দেন। দাদার যাবতীয় সঙ্কট মোচনে কেউ দেন ঠাকুরের ফুল, কেউ দেন ওষুধের প্যাকেট।
আরও পড়ুন :: আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে ‘দ্বিমুখ’ই সেনাপতি পদ্মের
তার পরেই ফের ‘চেনা মেজাজে’ দেখা গেল অনুব্রতকে। কর্মীদের সূত্রে খবর, জেলায় দলের সাংগঠনিক নানা বিষয়ে খোঁজ নেন তিনি। অনুব্রতের গলা কার্যত সপ্তমে চড়ে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি সব খবর রাখছি। দলের মধ্যে গ্রুপবাজি বরদাস্ত করব না। মনে রেখো, আমি কিন্তু চিরকাল জেলে থাকব না। যারা দলের মধ্যে গ্রুপবাজি করছে বেরিয়েই সব কটা’কে ছেঁটে দেব। পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনেই। এখন থেকেই ভোটের কাজে নেমে পড়ো। সবাই এক হয়ে কাজ করবে।’ সেইসঙ্গে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি জানতে চান, ‘খাওয়া-দাওয়া করেছিস সবাই?’
অনুব্রতকে এমন চড়া স্বরে কথা বলতে শুনে তড়িঘড়ি কাছে এসে তাঁকে শান্ত করেন মলয়।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, যে কোনও ভোটে বীরভূমে দলের কান্ডারি অনুব্রতই। এ বার তিনি জেল-বন্দি থাকায় জেলায় তৃণমূলের রণকৌশল কী হয়, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। তবে এজলাস থেকেই কেষ্টর দেওয়া বার্তায় দলের কর্মীরা উজ্জীবিত হবেন বলে আশা এ দিন আসানসোলে আসা নেতাদের একাংশের।
এ দিনই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সিউড়িতে বলেন, “মনোনয়ন করতে দেব না বলে আওয়াজ তুলেছিলেন। সেই আওয়াজ এখন ফাটা বাঁশে পরিণত হয়েছে। সবাই এখন জেলে। পঞ্চায়েত ভোটে আমরা জিতব।” এমনটাই দাবি লকেটের