রাজনীতিরাজ্য

অনুব্রত নন, কোটি টাকার টিকিট কেটেছিলেন অন্য কেউ! লটারি তদন্তে নয়া মোড়

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Anubrata Mandal Lottery Case : অনুব্রত নন, কোটি টাকার টিকিট কেটেছিলেন অন্য কেউ! লটারি তদন্তে নয়া মোড় - West Bengal News 24

বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতার বিষয় নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি। অনুব্রতর কোটি টাকা লটারি জয়ের রহস্যে নতুন মোড়৷ বোলপুরের ওই লটারির দোকানে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।

তদন্তে সিবিআই আধিকারিকদের সন্দেহ, ওই লটারির টিকিট অনুব্রত মণ্ডল নিজে কাটেননি৷ বরং কালো টাকা সাদা করতে অন্য কারও লটারির টিকিট কিনে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। অনুব্রত মণ্ডল যে লটারির টিকিটে এক কোটি টাকা জেতেন বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই টিকিট আসলে জিতেছিলেন নাহিনা গ্রামের এক বাসিন্দা৷ তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই ঘটনায় বীরভূমের আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামও সিবিআই জানতে পেরেছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন :: ডেঙ্গু আক্রান্ত সাংসদের স্বামী-মেয়ে, সরব বিরোধীরা

চলতি বছর শুরুতেই অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারি জয়ের খবর সামনে আসে৷ গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এবার তাঁর লটারি জয়ের তথ্য সংগ্রহ করতে মরিয়া সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, যেই এজেন্সি থেকে অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারির টিকিট কাটা হয়েছিল সেই এজেন্সির মালিক শেখ রাহুল গাঙ্গুলী এজেন্সি থেকে লটারি ভাঙিয়েছিলেন।

এই গাঙ্গুলী এজেন্সির মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে তাকে ডেকে পাঠানো হয়। ওই লটারি ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বীরভূমের আরও কয়েকটি লটারি এজেন্সি এবং বিক্রেতার খোঁজ পায় সিবিআই৷ তার মধ্যে রাহুল লটারি নামে একটি এজেন্সিরও খোঁজ মিলেছে৷ এরপর বৃহস্পতিবার বোলপুরের ওই লটারি এজেন্সির দোকানেও হানা দেয় সিবিআই।

এও জানা যায়, বোলপুরের রাহুল লটারি নামে একটি ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থার মাধ্যমে ওই টিকিট প্রথমে বিক্রি করা হয় নাকি লটারি নামে অন্য একটি এজেন্সিকে৷ সেখান থেকে টিকিট যায় মুন্না শেখ নামে বীরভূমের নাহিনা গ্রামের এক লটারি বিক্রেতার কাছে৷ শুক্রবার বোলপুরের ক্যাম্প অফিসে এদের তলব করেছিল সিবিআই৷

সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, অনুব্রত মণ্ডল যে লটারির টিকিটে এক কোটি টাকা জেতেন বলে দাবি করা হচ্ছে,সেই টিকিট আসলে জিতেছিলেন নাহিনা গ্রামেরই এক বাসিন্দা৷ সম্ভবত তাঁর থেকে ওই টিকিট কিনে নেওয়া হয়৷ কালো টাকা সাদা করতেই কোটি টাকা বাঁধা লটারির টিকিট কিনে নেওয়া হয় বলে মনে করছেন সিবিআই কর্তারা৷ এই ঘটনায় বীরভূমের আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামও সিবিআই-এর সামনে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button