বীরভূমের (Birbhum) বিজেপির সভামঞ্চে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নিশানায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দলীয় কর্মীকে খুনের চেষ্টার মামলায় এদিন দুবরাজপুর আদালতে জামিন পান অনুব্রত। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর উক্তি, ‘‘মাছ বিক্রেতা তিহাড়ে যাবে , পিছনে পিছনে ভাই , ভাইপো যাবে’’৷ পাশাপাশি তৃণমূল (Trinamool Congress) ত্যাগ করে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা এ দিনের সভা থেকেই বিজেপিতে যোগদান করেন৷
এ বার সায়গল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘যদি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saygal Hossain) ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি , তা হলে বুঝতে পারছেন মালিকের কত টাকা আছে ?’’শাসকদলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি আপনাদের বলব, শেষ ১১ বছরে কোনও উন্নয়ন (Development) হয়নি৷
রাস্তাঘাট ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে৷ এখানে দূষণের মাত্রা প্রচুর৷ ছোট ব্যবসায়ী, ঠিকাদার থেকে শুরু করে গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের ধ্বংস করেছে আর কয়েকটা লোক বড়লোক হয়েছে৷ কয়েকটি নেতা শত-শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে৷’’
শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘গ্রামে গ্রামে চোরদের সাফাই করুন ব্লিচিং, ফিনাইল দিয়ে৷ আমরা বড় চোরকে তিহাড়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করব৷ দায়িত্ব আমাদের৷ ২০২১ সালের নির্বাচনের (Election) পর ভাবতে পেরেছিলেন , এক বছরের মধ্যে বীরভূম জেলা পাল্টে যাবে৷’’অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কটাক্ষ করে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘কেষ্ট বাবু কেমন লাগছে৷ গাঁজার কেস দিলেন না? আপনার বিরুদ্ধে যাঁরা আওয়াজ তুলেছিল, তাঁদের গাঁজার কেস দিয়ে জেলে পুরতেন৷ আজকে কেষ্টবাবুর অবস্থা আপনারা দেখছেন৷’’
‘‘গোটা বীরভূম জেলায় দূর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলতে গেলে একমাত্র চোখে চোখ রেখে লড়াই করা ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সঙ্গে আপনাদেরকে আসতে হবে৷ এখানে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি৷ এ বারে লড়বেন তো আপনারা, গ্রামে লড়বেন তো আপনারা ?’’ শুভেন্দুর প্রশ্ন ছিল এমনই৷