রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি। বীরভূমের (Birbhum) হাসান গ্রামে কর্মসূচিতে যান বীরভূমের সাংসদ শতাব্দি রায় (Satabdi Roy) । এখানে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সাথে খাওয়া-দাওয়া পরিকল্পনায় ছিল , অভিযোগ ছবি তোলার পরে খাবার না খেয়ে উঠে যান সাংসদ শতাব্দী। তা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েন বিরোধী শিবির। হবে এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন বীরভূমের তারকা তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ।
শুক্রবার বীরভূমের মাড়গ্রামে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। সেই প্রসঙ্গে এদিন বলেন , “আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়নি। রাস্তা কেন হয়নি ? ড্রেন কেন হয়নি ? কল কেন হয়নি ? এই সব প্রশ্ন ছিল। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি , বিক্ষোভ হয়নি। অভিযোগ শুনতেই গেছি। লোক জড়ো করা হচ্ছে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য। আমার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কোনও শত্রুতা নেই।”
শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) বলেন, “মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। কালকে আমি ওখানেই খেয়েছি। মাটন, বেগুন ভাজা, সব খেয়েছি। আমি মাটির বাড়িতে খেয়েছি। আমাকে ছবি তুলতে বলা হয়েছিল। এলাকার লোকেরা সংবাদমাধ্যমকে (Media) অবিশ্বাস করছে। আমি ১৪ বছর ধরে খেয়েছি, কালকেও খেয়েছি। আমার বদনাম করা হয়েছে। স্বাভাবিক বুদ্ধি দিয়ে বিচার করুন। আমাকে ফাইভ স্টার থেকে এনে খাওয়ানো হয়নি। আমি ওঁদের বাড়িতে খেতে পছন্দ করেছি। একদিন আপনারা আমার সঙ্গে চলুন।”
শনিবার ডেকার্স লেনে ক্লাসিক ফাস্ট ফুড সেন্টারে এদিন খেতে আসেন শতাব্দী রায় Satabdi Roy) ও কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, “শতাব্দীকে নিয়ে সস্তা, অপপ্রচার করছে। শতাব্দী তিন বারের সাংসদ। সেটা বিরোধীদের মাথায় রাখা উচিত। বিজেপিকে (BJP) তোপ দেগে কুণাল বলেন, “এরা রাজনৈতিক পর্যটক (Political Tourist) । বিজেপির লোক নেই। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এখানে টিম পাঠাচ্ছে। রাজ্য সেরা পুরষ্কার পায় ওরা হতাশায় ভোগে।”