রাজ্য

গোরু পাচার মামলায় ১১৫ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

গোরু পাচার মামলায় ১১৫ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট

গরু পাচার মামলায় আরও ১১৫টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ। তার তথ্য আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে জমা দিল সিবিআই। তাদের দাবি, রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের জন্য জমা নেওয়া আধার কার্ড ব্যবহার করে ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে (CBI Court) গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে তোলা হয়।

এ দিন অনুব্রতের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ মক্কেলের জামিন চেয়ে আবেদন করেননি। তবে, ‘ভোলেবোম’ চালকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি চালু করার জন্য আবেদন করেন তিনি। ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি হবে। অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) সংশোধনাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যও সিবিআইকে অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী (Rajesh Chakraborty) বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে ফের জেল হেফাজতে রেখে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে আনার নির্দেশ দেন।

আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে , বীরভূম (Birbhum) কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সিউড়ি শাখায় এর আগে প্রায় ৩৩০টি ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্টের তথ্য আদালতে জমা দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। এদিন একই ব্যাঙ্কের আরও ১১৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য আদালতে জমা দেয় তারা। এই সব অ্যাকাউন্টে চালকলের টাকার লেনদেন হয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।

আইনজীবীরা জানান, বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই দাবি করে, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের বয়ান নেওয়া হয়েছে। ম্যানেজার মাত্র দু’দিনে অ্যাকাউন্টগুলির কাগজপত্রে সই করেছেন বলে জানিয়েছেন। বিচারক প্রশ্ন করেন, এত কাগজে মাত্র দু’দিনে কী ভাবে সই হল ? সিবিআই দাবি , ম্যানেজার তাঁদের কাছে দাবি করেছেন, ‘চাপের মুখে’ তা করতে হয়েছে।

ঘটনাচক্রে, সিউড়ির (Suri) একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করেছেন, তাঁদের নামে যে ওই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে, তা তাঁরা জানতেনই না। সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পরে তা জেনেছেন। তাঁদের আবার ধারণা, ‘দুয়ারে সরকার’ (Duyare Sarkar) এর শিবিরে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আধার কার্ড জমা দিতে হয়েছিল।

আদালতেও সিবিআই (CBI) দাবি করে , ওই অ্যাকাউন্টগুলি যাঁদের নামে, তাঁদের মধ্যে ১৬ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জন সই করতে জানেন না। ওই ১৬ জনেরই দাবি, তাঁরা এই অ্যাকাউন্টগুলির বিষয়ে কিছু জানেন না। তাঁদের আরও ভাল করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বিচারক সিবিআইকে নির্দেশ দেন।

এই প্রসঙ্গে বীরভূমের বিজেপি (BJP) নেতা তথা বিধায়ক অনুপ সাহার (Anup Saha) কটাক্ষ, ‘‘আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে থাকা একটা দল তৃণমূল। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে জমা দেওয়া নথি ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলাই সেটা প্রমাণ করে।’’ বীরভূম তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় (Malay Mukherjee) বলেছেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়। তাই মন্তব্য নয়।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button