নিয়োগ দুর্নীতিতে বড়সড় সাফল্য পেল CBI, গ্রেফতার বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে ‘বাগদার সৎ রঞ্জন’
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জারি ধরপাকড়। এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার বাগদার সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। শুক্রবার তাকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই (CBI)। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে শেষমেশ গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। ধৃতকে আজই আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সিবিআই (CBI)।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র নজরেও ছিল বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রঞ্জনের খোঁজ মিলছিল না। একাধিকবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি তাঁর। দিনকয়েক আগে বাগদায় রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বাড়িতেও নোটিস টাঙিয়ে দিয়ে আসেন ইডি-র আধিকারিকরা।
২০২১ সালের ২১ এপ্রিল প্রাক্তন সিবিআই (CBI) কর্তা তথা বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের (Upen Biswas) প্রথম শোনা যায় চন্দন মণ্ডলের নাম। চন্দনকে ‘বাগদার সৎ রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এর পরই আদালতে ওঠে বিষয়টি।
ইডি-র (ED) দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে জানা যায়, বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই (CBI) ।তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। বাগদায় চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিয়েও তার সন্ধান পাননি গোয়েন্দারা। পরে গত বছর জুলাই মাসে সিবিআই চন্দনের হদিশ পায়। তাঁকে একাধিক বার জেরাও করেন গোয়েন্দারা। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Cour) হাজিরাও দেন তিনি।
সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির দালাল অভিযোগে ধৃত প্রসন্ন রায়কে জেরা করেও ‘রঞ্জনে’র নাম সামনে এসেছে। রঞ্জন এবং প্রসন্ন যে যোগাযোগ রয়েছে, সেই তথ্যন উঠে আসে। যদিও রঞ্জনের দাবি, তার সঙ্গে প্রসন্নর ব্যববসায়িক সম্পর্ক ছিল। তার বিরুদ্ধে উপেন বিশ্বাস (Upen Biswas) অভিযোগ জানালেন কেন, তা জানতে সিবিআই তাকে বারবার জেরা করে। তার সামনে বেশ কিছু নথি এবং তথ্যভও তুলে ধরা হয়।