রাজ্য

পরিবারের পাঁচ জনের চাকরির জন্য চন্দন মণ্ডলকে ৪৪ লক্ষ টাকা, দাবি চন্দনের দূর সম্পর্কের আত্মীয়র

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

পরিবারের পাঁচ জনের চাকরির জন্য চন্দন মণ্ডলকে ৪৪ লক্ষ টাকা, দাবি চন্দনের দূর সম্পর্কের আত্মীয়র

নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে ধৃত চন্দন মণ্ডলকে পরিবারের পাঁচ জনের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন , এমনই দাবি করলেন এক ব্যক্তি।

বাগদার মামা ভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দনকে অনেকে টাকা দিয়ে স্কুলের চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। চন্দনের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়, বাগদার বাসিন্দা অরবিন্দ মণ্ডল (Arbinda Mondal) বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর পরিবারের ৫ জনের স্কুলের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন চন্দনকে। দু’জনের চাকরি হয়েছিল। বাকি তিন জনের ভাগ্যে অবশ্য শিকে ছেঁড়েনি বলে জানা গিয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক উপেন বিশ্বাস (Upen Biswas) ভিডিয়ো বার্তায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বাগদার বাসিন্দা রঞ্জন খুবই সৎ মানুষ। কারণ , তিনি লোকের থেকে টাকা নিয়ে সকলকেই চাকরি দেন। পরে জানা যায়, এই রঞ্জনের আসল নাম চন্দন মণ্ডল (Chandan Mondal)।

অরবিন্দের দাবি, তাঁর মেয়ে, ভাইপো, ভাই, কাকার ছেলে ও ভাগ্নেকে চন্দন চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেছিলেন। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণি, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। চতুর্থ শ্রেণি ও প্রাথমিকে চাকরির জন্য মাথা-পিছু ১২ লক্ষ টাকা করে চেয়েছিলেন চন্দন। অগ্রিম ৫ লক্ষ টাকা এবং চাকরি হয়ে গেলে বাকি ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়।

চতুর্থ শ্রেণিতে দু’জনের চাকরি করেও দেন চন্দন। বাকিদেরটা করতে পারেননি। সেই টাকা ফেরতও মেলেনি। পরিবারের যে দু’জন চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের আবার আদালতের নির্দেশে মাস দুয়েকের মাথায় চাকরি যায়। পারিবারিক জমিজমা বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলাম। আমাদের এখানে আরও অনেকে ভিটে-জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছেন চন্দনকে।’

বাগদা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অনুপ ঘোষ (Anup Ghosh) বলেন, ‘‘মামাভাগিনা এলাকায় শ’খানেক মানুষ চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন।’’ কিন্তু এ সব নিয়ে এত দিন পরে মুখ খুললেন কেন ? অরবিন্দের জবাব, ‘‘আশা ছিল, টাকাটা ফেরত পাব। এখন মনে হচ্ছে, আর সেটা সম্ভব নয়।’’ তবে কি পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন ? সেই চিন্তাভাবনা আছে বলে জানালেন অরবিন্দ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button