বর্ধমান

“যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে “,গলসি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষা রূপালী হাঁসদার এই রকমই দশভূজা রূপে মুগ্ধ বিধায়ক -এলাকাবাসী

দীপন চ্যাটার্জী

"যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে ",গলসি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষা রূপালী হাঁসদার এই রকমই দশভূজা রূপে মুগ্ধ বিধায়ক -এলাকাবাসী

দশভূজা দেবী দূর্গা বাঙালি নারীর জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। মা দূর্গা তার দশটি হাত দিয়ে সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করেছিলেন। তেমনই আমাদের সমাজে নারীরাও মা দূর্গার মতো দশভূজা হয়ে সমস্ত কিছু সামলান। অথচ এই নারীকেই অনেক সময় সইতে হয় নানা প্রতিবন্ধকতা, গঞ্জনা ও নিপীড়ন। আজ আমরা এমনি একজন নারীকে নিয়ে কথা বলবো যিনি একাহাতে সংসার, তার জনগণের উপর দায়িত্ব এবং চাষবাস একাহাতে সামলাচ্ছেন।

কথায় আছে ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে ‘-এই কথার প্রকৃত উদাহরণ হিসেবে দেখা গেলো পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষা মাননীয়া রূপালী হাঁসদা মহাশয়াকে।পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষা হয়েও কৃষিজমিতে কাজ করেন রূপালি। সমিতির কাজকর্মের পাশাপাশি বাড়ির কাজকর্ম সবই করতে হয় তাকে।

রূপালি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। সংসার চালাতে তাঁর স্বামী কালীচরণ হেমব্রম বর্তমানে ভিন্‌রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি নিজেও দিনমজুরের কাজ করেন। সাটিনন্দী গ্রামের তাঁদের নিজেদের চাষের জমিজায়গা নেই। একটু বসতভিটে থাকলেও তা ইট, সিমেন্ট, রডের তৈরি পাকা বাড়ি নয়। বরং চারিদিকে ধসে পড়া এবং জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাটির বাড়ি।রুজিরুটির জন্য পরের জমিতে ক্ষেতমজুর হিসাবে কাজ করেন তিনি। রাজ্যে যেখানে একেরপর এক নেতা -মন্ত্রীরা দুর্নীতির কারণে শিরোনামে সেখানে রূপালী দেবীর সৎ পথে উপার্জন সত্যিই এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।

রূপালি দেবীর কাজের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় খণ্ডঘোষের মাননীয় বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ মহাশয়ের গলায় তিনি বলেন, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আদর্শকেই সামনে রেখে তারা সবসময় এই ভাবেই সৎপথে এগিয়ে চলেছেন এবং ভবিষ্যতেও চলবেন । রুপালি দেবীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছেন। রূপালী দেবীর মতো মহিলারাই সমাজের রোল মডেল।

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, রূপালী দেবী সমস্ত দিক সমান ভাবেই সামলান । তিনি তাদের সমস্ত সমস্যার সমাধানও করেন এবং তাদের সাথে ক্ষেতমজুর হিসেবে কাজও করেন ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button