বাস্তবে কি আদৌ এগিয়েছে বাংলা? বাংলার বাস্তব পরিস্থিতির হাল হকিকত জানার উদ্দেশ্যেই ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বহু দিন হল ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুরু করেছেন। সেই অনুষ্ঠানে বলেন নিজের মনের কথা । এবার বাংলার মানুষের ‘মন কি বাত’ শুনতে ময়দানে সুকান্ত মজুমদার। ‘পাড়ায় সুকান্ত’- এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) সাংসদীয় এলাকা দিয়ে।
শুধুমাত্র নিজের লোকসভা কেন্দ্রেই নয়, বাংলার মানুষের ‘মন কি বাত’ শুনতে পাড়ায় পাড়ায় হাজির হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি এ রাজ্যে দলের বিভিন্ন সংগঠনিক জেলায় হাজির হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ।
প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ কর্মসূচি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবার শুধুমাত্র নিজের লোকসভা কেন্দ্রেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলার মানুষের কথা শুনতে ‘পাড়ায় পাড়ায় হাজির হচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজেই সেই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘পাড়ায় সুকান্ত’।
সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গেও খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । প্রদান করা হচ্ছে নানান পরিষেবা। কিন্তু হঠাৎ কেন এই ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি?
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজেই সেই প্রশ্নের উত্তর খোলসা করলেন বঙ্গ পদ্ম শিবিরের সেনাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, ‘‘আমার এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল, বাংলার মানুষের মনের কথা শোনা। বারবার ঘটা করে প্রচার করা হয় ‘এগিয়ে বাংলা’।
বাস্তবে কি আদৌ এগিয়েছে বাংলা ? ‘দুয়ারে সরকার’ কতটা মানুষের দুয়ারে পৌঁছতে পেরেছে? বাংলার বাস্তব পরিস্থিতির হাল হকিকত জানার উদ্দেশ্যেই আমার এই ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচির ভাবনা।’’
সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদেরও বলব আপনারাও আমার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচিতে এসে অভাব অভিযোগ। প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তির বিষয়গুলি তুলে ধরুন। তাতে বাংলার বাস্তব ছবিটা আমার কাছে আরও স্পষ্ট হবে’।’
‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি আসলে পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ পদ্ম শিবিরের সেনাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রধান লক্ষ্য যে জনসংযোগের মাধ্যমে দলকে আরও শক্তিশালী করাই মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।