এ যেন হলিউড সিনেমার কোনো একটা দৃশ্য! জলের নীচে দুরন্ত গতিতে হু হু করে ছুটছে রেল।
গত বুধবার তেমনি এক রোমাঞ্চকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা দেশ। হুগলি নদীর জলতলের প্রায় ৩২ মিটার নীচে টানেল পার করে ইতিহাস গরল কলকাতা মেট্রো। মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক প্রথমবার সাক্ষী থাকলেন এই ঐতিহাসিক ঘটনার।
বুধবার সকাল ১১:৫৫ নাগাদ, কলকাতা মেট্রোর রেক নাম্বার ৬১৩ এই প্রথমবার মহাকরণ থেকে জলের নীচে টানেল পার করে পৌঁছে গেল হাওড়া ময়দান স্টেশন। ভারতে সর্বপ্রথম জলতলের নীচে ছুটল রেল লেখা হল আর এক বিষ্ময়কর অধ্যায়। মেট্রোরেলের এই সাফল্যে আপ্লুত মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী পি উদয় কুমার রেড্ডি আয়োজন করেছিলেন পুজোর।
এক প্রশ্নের উত্তরে মিঃ রেড্ডি জানান, “আপাতত পরবর্তী সাতমাস হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত ট্রায়াল রান চালানো হব এরপর নিয়মিত পরিষেবার জন্য লাইন ব্যবহার করা যাবে”। এই বছরের মধ্যেই এই রুটে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হুগলি নদীর জলতলের ৩২ মিটার নীচে বিস্তৃত মেট্রো টানেলটি একটি প্রযৌক্তিক বিষ্ময়। ইতিমধ্যে দুটি মেট্রো রেক কে এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দান স্টেশন পর্যন্ত ৪.৮ কিমি ভূগর্ভস্থ পথে ট্রায়াল রান করানো হয়েছে। ২০১৭ সালে তৈরি হওয়া টানেল গুলি ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর প্রজেক্ট এর অংশ, কলকাতা এবং হাওড়া কে এক সূত্রে গেঁথে ফেলেছে হুগলির নীচে তৈরি হওয়া এই টানেলটি।
মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে জলতলের নিচে প্রায় পাঁচশো কুড়ি মিটার পথ মাত্র ৪৫ সেকেন্ডে অতিক্রম করা যাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বর্তমানে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো লাইন সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত ৯.১ কিমি সক্রিয়। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেলওয়ে পরিষেবার প্রথম পর্যায়ে শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।