নদীয়া

সবুজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ‘ঝুমুর নাচের ‘মধ্যে দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ আদিবাসী সম্প্রদায়ের

সবুজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ‘ঝুমুর নাচের ‘মধ্যে দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ আদিবাসী সম্প্রদায়ের - West Bengal News 24

নীরব সাক্ষী রূপে যারা সব কিছু দর্শন করতে থাকে তারা আর কেউ নয়, তারা এই বৃক্ষসমূহ। সভ্যতার সূচনাতে যারা সর্ব প্রথম পৃথিবীতে পা রেখেছিল তারাই এই বৃক্ষরা। স্বয়ং ঈশ্বরও বৃক্ষদের ওপর যেন গুরুদায়িত্ব দিয়ে জীব কুলের সূচনা করেছিল। জীবকুলের সৃষ্টির জন্য বৃক্ষদের আগমন ছিল খুবই জরুরী।

জমি রক্ষা ও সবুজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ ঝুমুর নাচের মধ্যে দিয়ে। এদিন নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাহাদুরপুর গ্রামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতির বনবাধিকার কমিটি।

তাদের দাবি, পূর্ব পুরুষ ধরে ওই গ্রামের প্রায় ১৩০ টি আদিবাসী পরিবার চাষ করে জীবন যাপন করেন, কিন্তু দখল পত্রে তাদের নামকরণ থাকা সত্ত্বেও তারা জমির নামকরণ থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে ওই গ্রামে কয়েক হাজার গাছ রয়েছে যা বনদপ্তরে অধীনস্থ, কিন্তু রাতের অন্ধকারে বনদপ্তরের চোখে ধুলো দিয়ে কে বা কারা গাছ কেটে হত্যা করে।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতির বনধিকার কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন প্রশাসনের দপ্তরে লিখিত জানিয়েছিলেন। যদিও প্রশাসন তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও যা এখনো পর্যন্ত অপরিপূর্ণ।

তাই প্রশাসনের পাশাপাশি গোটা গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে ও জমি রক্ষা এবং সবুজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে এক ঝুমুর নাচের মধ্যে দিয়ে করেন অভিনব প্রতিবাদ। উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতির রাজ্য কমিটির সেক্রেটারি উত্তম গাইন, প্রাক্তন রাজ্য সেক্রেটারি স্বপন কুমার গাঙ্গুলী।

এছাড়াও ছিলেন ক্ষেতমজুর সমিতির নদীয়া জেলার সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় রায়। তবে যতদিন না পর্যন্ত তাদের জমি রক্ষার দাবি পরিপূরণ হচ্ছে আগামী দিনেও একইভাবে প্রতিবাদে সামিল হবেন তারা বলে জানিয়েছেন বনো অধিকার কমিটির সদস্যরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য