বর্ধমান

নারীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে জেলা শাসকের দারস্থ কংগ্রেস পরিবার

নারীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে জেলা শাসকের দারস্থ কংগ্রেস পরিবার

যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক জন মহিলা এবং বাংলার স্লোগান হলো বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। সেখানে দাঁড়িয়ে আজ বাংলা নারীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে জেলা শাসকের দারস্ত হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১নং ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতম পুর এলাকার কংগ্রেস পরিবার। জেলাশাসককে কাছ থেকে কোনো সুরাহা না পেলে রাজ্যপাল এবং প্রধানমন্ত্রীর দারস্ত হওয়ার হুমকি দিলেন তারা।

তৃণমূলের অত্যাচারে এক প্রকার গৃহ ছাড়া পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতম পুর এলাকার একদা কংগ্রেস পরিবার। ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকে কংগ্রেস করার কারনে দীর্ঘ ৩৫ বছরের বামফ্রন্টের কাছে ও মাথা নত করেন পরিবার ।

কংগ্রেস করার জন্য সিপিএমের কাছে তারা কোনো ভাবে আক্রান্তও হননি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের আসার পর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কাছ থেকে একের পর এক আক্রান্তর স্বীকার হচ্ছেন। শাসক দলের হাত থেকে রক্ষা পেতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ও বহু বার আবেদন করেন। তাতেও কোনো লাভ না হ ওয়ায় আজ জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তা দিয়ে গড়াতে গড়াতে জেলা শাসকের দারস্ত হন।

মেমারি ১ ব্লকের হেতাম পুরের বাসিন্দা দিবান সেখ বলেন তৃণমূলের নেতারা বলেন খেলা হবে। এটাই হচ্ছে তৃণমূলের খেলা হবে এর একটি নমুনা। এভাবেই তারা বাংলার মানুষের সাথে খেলছেন।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে বার বার তৃণমূলের চক্রান্তে পড়ি। যেখানেই বিবাহের সম্মন্ধ করা হয় সেখানেই বিয়ে ভেঙ্গে যায়। পরে ঘটকের কাছ থেকে জানতে পারি স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা পাত্র বাড়ির লোকজনদের ভয় দেখান। এখানে বিয়ে হলে ছেলের বিপদ আছে।

পরে অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে বিয়ের অর্থ প্রযোজন থাকায় চাষের জমি বিক্রি করতে গেলে বি এল আর দপ্তর থেকে জানতে পারি জমি পুকুর সব নট ফাউন্ড হয়ে আছে। (অর্থাত্‍ জমি সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ) এরপর তত্‍কালীন বিধায়ক নার্গিস বেগম, ব্লক সভাপতি মধুসূদন হাজরা কেও জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button