জানা-অজানা

৪৬ বছরের অপেক্ষা ! কী আছে পুরীর রহস্যময় রত্নকক্ষে?

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

৪৬ বছরের অপেক্ষা ! কী আছে পুরীর রহস্যময় রত্নকক্ষে? - West Bengal News 24

প্রায় অর্ধশতক যে প্রকোষ্ঠ খোলা হয়নি সেখানে সাপখোপ থাকতে পারে, সেই সতর্কতায় ডাক পড়েছিল সর্প বিশেষজ্ঞদেরও। যদিও সেই বিপদ ঘটেনি। তবে দরজা খুলতেই ১১ সদস্যের কমিটিকে ‘স্বাগত’ জানায় ঝাঁক ঝাঁক বাদুড়। আগেই জানা গিয়েছিল , রত্ন ভাণ্ডারের দরজা খোলা হয়েছে ‘পবিত্র মুহূর্ত’ দুপুর ১টা বেজে ২৮ মিনিটে।

বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত রত্নভাণ্ডারের ভিতরেই ছিল ১১ সদস্যের কমিটি। দীর্ঘ ৪৬ বছরের প্রতিক্ষার অবসান! খুলে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বহু আলোচিত রত্নভাণ্ডার। দেবধনের মতোই মন্দিরের ‘গুপ্তধন’ নিয়েও গোটা দেশের ভক্তজনদের মধ্যে কৌতূহলের অন্ত ছিল না।

তার উপর কতকটা গুপ্তধনের সিন্দুক ভাঙার কায়দাতেই চাবি না পেয়ে তালা ভাঙা হল রত্নভান্ডারের ভিতরের কক্ষে প্রবেশের দরজার। ১৮০ রকমের বহুমূল্য গয়না রয়েছে ভাণ্ডারে। এর মধ্যে ৭৪ রকমের ভারী সোনার গয়না। কোনও কোনও গয়নার ওজন ১০০ তোলা অর্থাৎ দেড় কোজি অবধি। বাইরের প্রকোষ্ঠে জগন্নাথের একটি সোনার মুকুট এবং তিনটি সোনার হরিদকণ্ঠী মালা। জগন্নাথদেব এবং বলভদ্রের সোনার শ্রীভুজ বা হাত এবং শ্রীপয়ার বা পা-ও রয়েছে রত্ন ভান্ডারে।

অনঙ্গভীম দেব জগন্নাথদেবের অলঙ্কার তৈরির জন্য প্রায় দেড় হাজার কেজি সোনা দিয়েছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষকে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে সরকারি ঘোষণা না হলেও নানা সূত্রে সোনা-হিরে-মণি-মুক্তের অলঙ্কারের হিসেব মিলছে। রয়েছে সোনা, হিরে, প্রবাল, মুক্তো দিয়ে তৈরি ‘প্লেট’। ১৪০টি ভারী রূপোর গহনাও রয়েছে মন্দিরের ভিতরের রত্নকক্ষে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য