ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রামে বাজের বলি ৫, মেঘ ডাকলে সতর্ক থাকার আবেদন

ঝাড়গ্রামে বাজের বলি ৫, মেঘ ডাকলে সতর্ক থাকার আবেদন - West Bengal News 24

 

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: একেই বলে নিয়তি! জখম ৭ আর মৃত ৫। সাত-পাঁচের গেরোয় হাহাকার রব উঠল পাঁচটি পরিবারে। উৎকন্ঠায় রয়েছেন সাতটি পরিবার। সোমবার দুপুরে কেউ জমিতে ধান রুইছিলেন। কেউ গরু চরাচ্ছিলেন।

কেউ আবার চাষের কাজের ফাঁকে এক মুঠো ভাত খেয়ে গাছতলায় জিরোচ্ছিলেন। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল, জামবনি ও গোপীবল্লভপুরে বজ্রাঘাতে প্রাণ হারালেন দুই মহিলা সহ ৫ জন।

এদিন দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলার শাঁকরাইল থানার ধানগোরি অঞ্চলের দুধিয়ানালা গ্রামে জমিতে ধান রোয়ার কাজ করছিলেন কয়েকজন মহিলা। আচমকা বাজ পড়ায় জলা জমিতে লুটিয়ে পড়েন তিন মহিলা।

[ আরও পড়ুন : একুশে জুলাইয়ের আগে মমতার ছবিতে উজ্জ্বল ঝাড়গ্রাম শহর ]

স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে শাঁকরাইল ব্লকের ভাঙাগড় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যতনবালা কালিন্দি (৫০) ও সুন্দরী কালিন্দীকে (৪৫) চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামবনি থানার পড়িহাটি গ্রামে চাষের কাজ করার সময়ে বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন শেখ মুক্তার (৪৫) ও বাগঘোরি গ্রামের নেপাল

ঝাড়গ্রামে বাজের বলি ৫, মেঘ ডাকলে সতর্ক থাকার আবেদন - West Bengal News 24

 

মুর্মু (৪৫)। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাজ পড়ে জামবনির বাগঘোরি ও নাচদা গ্রামের ৬ জন আহত হন। এদিনই গোপীবল্লভপুর থানার মোহুলি গ্রামে গরু চরানোর সময়ে বজ্রাঘাতে ফুদিল মহাপাত্র নামে (৪৮) এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হন।

ফুদিলকে বাড়ির লোকেরা গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক ফুদিলকে মৃত ঘোষণা করেন। দুই মহিলা সহ ৭ জন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল ও ভাঙাগড় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্ষার মরশুমে জেলায় শুরু হয়েছে চাষের কাজ। কিন্তু এই সময়ে ঘন ঘন বাজ পড়ায় কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষজনকে সতর্ক ভাবে কাজ করার আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন।

[ আরও পড়ুন : ক্ষমতায় এলে বদলে দেব সব, চায়ের চর্চায় আশ্বাস দিলীপের ]

 

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য