একুশে জুলাইয়ের আগে মমতার ছবিতে উজ্জ্বল ঝাড়গ্রাম শহর
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: একুশে জুলাইয়ের আগে সোমবার ঝাড়গ্রাম শহর জুড়ে টাঙানো হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। শহর যুব তৃনমূলের উদ্যোগে এদিন শহরের পেপার মিল মোড়, একলব্য মোড়, পুরাতন ঝাড়গ্রামের সাবিত্রী মন্দির মোড়, ওল্ড সেটেলমেন্ট মোড়, মডেল রোড, পাঁচ মাথার
মোড়, শিব মন্দির মোড়, উড়ালপুল এলাকা, সাবিত্রী সিনেমা মোড়ের মত বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল নেত্রীর ছবি টাঙানো হয়। এদিন শহর যুব তৃনমূলের সম্পাদক উজ্জ্বল পাত্রের নেতৃত্বে সংগঠনের কর্মীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিগুলি টাঙান।
শহরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির বড়ই অভাব ছিল বলে কয়েক মাস আগেই জেলায় এসে দলীয় বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অবশেষে একুশে জুলাইয়ের আগে শহর মমতাময় হল।
উজ্জ্বল বলছেন, “জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ স্বরূপ। জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের উন্নয়নের যাদু কাঠির ছোঁয়ায় জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছেন তিনি।” তবে উজ্জ্বল মানছেন, শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় তৃণমূল নেত্রীর ছবি ছিল না।
[ আরও পড়ুন : সবুজে ভরে উঠবে অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণ ]
তাই একুশে জুলাইয়ের আগে সেই কাজ সম্পন্ন করলেন উজ্জ্বল ও তার সহযোগীরা। শহর যুব তৃণমূলের সম্পাদক উজ্জ্বল পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক। তরুণ সমাজসেবী হিসেবে তাঁর নামডাক রয়েছে। লকডাউন পর্বে দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, বয়স্কদের জন্য ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার মতো
সেবামূলক নানা কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মেয়ের অন্নপ্রাশন না করে লকডাউন পর্বে এলাকার গরিব মানুষদের কয়েকদিনের জন্য খাদ্যসামগ্রী দিয়েছিলেন উজ্জ্বল। এছাড়া যুব তৃণমূলের উদ্যোগে শহরের গরিব মানুষদের জন্য বিনা পয়সার আনাজ বাজারের পরিকল্পনাটাও ছিল উজ্জ্বলের
মস্তিষ্কপ্রসূত। ওই আনাজ বাজারে যাবতীয় শাক-সবজি নিজের খরচে সরবরাহ করতেন উজ্জ্বল। সেই উজ্জ্বলের উদ্যোগে শহরে উজ্জ্বল ভাবে শোভা পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
[ আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামে রাজ্য সড়কে গাড়ি থামিয়ে ‘তোলাবাজ’দের উৎপাত ]