বিনোদন

সঙ্গীতের জাদুকর এ আর রহমান সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

সঙ্গীতের জাদুকর এ আর রহমান সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য - West Bengal News 24

তার কম্পোজিশন কানে এলে মনের মাঝে সূক্ষ্ম আবেগের ঘনঘটা দেখা দেয়। তিনি অস্কারজয়ী এ আর রহমান। নাম বললে আর নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। তার অতুলনীয় মেধা আর সঙ্গীতের প্রতি আত্মীয়তা আমাদের অসাধারণ সৃষ্টির মুখোমুখি করেছে। তাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ আগেও যেমনটা ছিল তেমনই রয়েছে। এখানে তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন যা হয়তো আপনি জানতেন না।

১. রহমান কিন্তু আগে এ আর রহমান ছিলেন না। তিনি ছিলেন দিলীপ কুমার। পরে সুফি ইসলাম গ্রহণ করেন কাদরি সাহেবের সংস্পর্শে আসার পর। তার সঙ্গীতে সুফিবাদ রয়েছে। এক সাক্ষৎকারেই বলেছিলেন, দিলীপ কুমার নামটি তার ভালো লাগতো না। এক হিন্দু জ্যোতির্বিদ তার মুসলিম নামটি রেখেছিলেন।

২. তামিল ছবি ‘রোজা’তে এই সঙ্গীতজ্ঞের বিরল প্রতিভার সন্ধান পান মণি রত্নম। ওই ছবিতে গানের জন্যে তিনি ২৫ হাজার রুপি পেয়েছিলেন। এ ছবি তাকে কেবল খ্যাতিই দেয়নি, জাতীয় পুরস্কারও এনে দেয়।

৩. রহমানের বাবা এর কে শেখর ছিলেন সিনেমার কম্পোজার এবং তামিল ও মালায়লাম ছবির পরিচালক। তার বাবার ঘরের দেয়ালে লতা মুঙ্গেশকরের ছোট একটা ছবি দেখতেন রহমান। প্রতিদিন লতাজির ছবি দেখে তিনি নিজের কাজে বসতেন।

৪. ছোটকাল থেকেই তাকে সঙ্গীতের আশপাশেই দেখা যেতো। দূরদর্শনের ওয়ান্ডার বেলুন অনুষ্ঠানে তিনি জনপ্রিয় হন শিশুকালে। কারণ, একসঙ্গে ৪টি কিবোর্ড বাজাতে পারতেন তিনি।

৫. আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কারই কেবল হাসিল করেননি তিনি, কানাডার অন্টারিও’র মার্কহাম স্ট্রিট তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। ফ্রান্সের একটি টিভি বিজ্ঞাপনে রহমানের ‘বোম্বে’ ছবির থিম সং ব্যবহার করা হয়।

৬. রহমান এবং তার ছেলের জন্মতারিখ একই।

৭. তার অস্কারজয়ী ‘জয় হো’ গানটি সালমান খানের ‘যুবরাজ’ ছবির জন্যে বানানো হয়েছিল। আর তার ‘দিল সে’ ছবির ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটি ডেনজেল ওয়াশিংটনের ‘ইনসাইড ম্যান’ ছবিতে ব্যবহৃত হয়।

৮. ছোটকালের বন্ধু সিভামানি, জন অ্যান্টোনি, সুরেশ পিটার্স, রাজা এবং জো জো এর সঙ্গে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন তিনি। সেখানে কিবোর্ড বাজাতেন রহমান।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য