বর্ধমান

বিশ্ববাংলার জাল লোগো ব্যবহার করে চলছিল বেআইনি বালিচক্র, পূর্ব বর্ধমানেপুলিশের জালে আটক বালি বোঝাই লরি

দীপন চ্যাটার্জী

বিশ্ববাংলার জাল লোগো ব্যবহার করে চলছিল বেআইনি বালিচক্র, পূর্ব বর্ধমানেপুলিশের জালে আটক বালি বোঝাই লরি

পূর্ব বর্ধমানে বেড়েই চলেছে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। কয়েকদিন আগেই জামালপুরে সরকারি আধিকারিকদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। লরিতে ওভারলোডিং বন্ধ করার জন্য তল্লাশির সময় এই ঘটনা ঘটে। এর পর কয়েকদিন ওভারলোডিং বন্ধ থাকলেও ফের তা চালু।

আজ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে সন্দেহের বশে একটি বালি ভর্তি ওভারলোড ট্রাক আটকানো হয়। অভিযোগ, ট্রাকের ড্রাইভার সেইসময় আধিকারিকদের মেজাজ দেখায়। তার কাছে অনুমতি আছে বলে দাবি করেন। এবং একটি কুপন দেখান, তাতে বিশ্ববাংলা লোগোর পাশাপাশি ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’ লেখা আছে।

এরপরেই খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। দেখা যায় পুরোটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালুই করেনি। বিষয়টি পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তাদের জানানো হয়। আশেপাশের জেলাকে সতর্ক করা হয়। জানা গেছে, বীরভূমের ইলামবাজার থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে কলকাতা যাচ্ছিল ট্রাকটি। সেই কারণেই সমস্ত থানাকে সতর্ক করা হয়।

বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছে এই ঘটনায়, জেলা বিজেপি সভাপতি মাননীয় অভিজিত্‍ তা বলেন, ‘জেলায় বালি-কয়লা সব পাচারেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। বালিপাচারে দুর্নীতির এই চক্র চলছে শাসকদলের মদতে।’ কংগ্রেসের নেতা মাননীয় গৌরব সমাদ্দার বলেন, ‘এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিসি ভাইপোর রাজত্বে এমনটা হয়েই চলেছে।’

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, “পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রেভিনিউ আদায় হয়। আমরা বেআইনি বালির বিরুদ্ধে সবসময় কড়া পদক্ষেপ নিই। বিশ্ববাংলা লোগো লাগিয়ে অবৈধ কাজ আইন মেনে নেবে না। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না।প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

বর্ধমান জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু জানান, “সরকার এ ধরণের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য এ কাজ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। “

আরও পড়ুন ::

Back to top button