Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বর্ধমান

পরীক্ষাকেন্দ্রেই জ্ঞান হারালো জামালপুরের চক্ষনজাদি জি এম ইন্সটিটিউশনের এক মেধাবী ছাত্রী

পরীক্ষাকেন্দ্রেই জ্ঞান হারালো জামালপুরের চক্ষনজাদি জি এম ইন্সটিটিউশনের এক মেধাবী ছাত্রী

ছাত্রজীবনের দ্বিতীয় বড়ো পরীক্ষা হলো উচ্চমাধ্যমিক।গত ১৪ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।গত বছর কোভিডের কারণে হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।কিন্তু এই বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে তাই পরীক্ষা ব্যবস্থাও আবার আগের মতোই স্বাভাবিক হয়েছে।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিন থেকেই একের পর এক ঘটনা ঘটতেই থাকছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। পরীক্ষার প্রথম দিন বাইক অ্যাক্সিডেন্টে গুরুতর আহত হয় চার পড়ুয়া। জামালপুর হাসপাতালে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।কিন্তু আজ ঘটল আর একটি ঘটনা পরীক্ষা কেন্দ্রেই জ্ঞান হারালো চক্ষনজাদি ভি.এম ইন্সটিটিউশন এর এক মেধাবী ছাত্রী।

পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক অখিল মজুমদারের বলেন, পরীক্ষা দিতে শুরু করার পর ঘন্টাখানেক কাটতে না কাটতে ছাত্রীটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকা আশা কর্মীরা প্রাথমিক শুশ্রুষা করার পরেও ছাত্রীর জ্ঞান না ফেরায় পরীক্ষকরা ছাত্রীকে নিয়ে দ্রুত জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলে আসেন।

সেখানে জরুরী ভিত্তিতে ছাত্রীর চিকিত্‍সা ব্যবস্থা করা হয়। কিছুক্ষণ চিকিত্‍সা চলার পর ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে হাসপাতালের বেডে বসে ছাত্রী যাতে পরীক্ষা দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়। শেষ পর্যন্ত অক্সিজেন মাস্ক মুখে লাগানো অবস্থায় ছাত্রী পল্লবী ফের হাসপাতালে বেডে বসেই উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করে।কিন্তু পরীক্ষা দেওয়া সম্পূর্ণ করতে না পেরে ওই ছাত্রী ফের জ্ঞান হারালে পরিবারের লোকজন তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বাকি পরীক্ষা গুলি ছাত্রীটি আর দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ছাত্রীর পিতা পলাশ চট্টৌপাধ্যায় বলেন, আমার মেয়ে পল্লবীর নিউরোর সমস্যা রয়েছে। কোনও রকম মানসিক চাপ পল্লবী একদম নিতে পারে না। বেশ কিছুদিন ধরে তার চিকিত্‍সা চলছে। এমন অবস্থার মধ্যেই গত মঙ্গলবার আমার মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা দিতে যায়। ওই দিন পরীক্ষা দিয়ে টোটোয় চেপে ফেরার সময় টোটোর চাকায় পিষ্ট হয়ে একটি ছাগলের মৃত্যুর ঘটনা দেখার পর থেকেই আতঙ্কে পল্লবীর মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি হয়।

সেই অবস্থার মধ্যেই আমার নেয়ে এদিন উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরাজি পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা কেন্দ্রেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জামালপুর হাসপাতালে চিকিত্‍সা চলার পর জ্ঞান ফিরলে সেখানে নাকে অক্সিজেন মাস্ক নিয়ে ফের পরীক্ষা দিতে বসে। কিন্তু বেশিক্ষণ পরীক্ষা দিতে পারে না। ফের জ্ঞান হারায়। এর পর মেয়েকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিত্‍সা করিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন বলে পলাল বাবু জানিয়েছেন। বাকি দিন গুলির পরীক্ষা পল্লবী আর দিতে পারবে কিনা উত্‍কন্ঠায় রয়েছে তার গোটা পরিবার।

আরও পড়ুন ::

Back to top button