Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
মালদা

পরিবারের বাচ্চাদের খেলাধুলা নিয়ে ঝামেলা, ছোট ভাইকে ব্যাপক মারধর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ

পরিবারের বাচ্চাদের খেলাধুলা নিয়ে ঝামেলা, ছোট ভাইকে ব্যাপক মারধর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ

পরিবারের মধ্যে বাচ্চাদের খেলাধুলা নিয়ে ঝামেলা। সেই ঝামেলা থেকে ভাই বোনেদের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ। সেই বিবাদের জেরেই ছোট ভাইকে ব্যাপক মারধর এবং খুনের চেষ্টা অভিযোগ দাদা,বৌদি এক বোন এবং বোন জামাইয়ের বিরুদ্ধে। দুই হাত বেধে বাঁশের মধ্যে পা ঢুকিয়ে ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত।

লোহার রড দিয়ে মারধর। স্বামীকে রক্ষা করতে এসে ভাসুরের হাতে আক্রান্ত তার স্ত্রীও। ছেলে,বৌমা,মেয়ে এবং জামাইয়ের নামে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল মা। মা এবং আরেক দিদিকেও মারার চেষ্টার অভিযোগ। আক্রান্তদের দাবি সঠিক ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিশ।

সমগ্র ঘটনায় বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়গড়ি গ্রামের ডাকবাংলা পাড়ার ঘটনা। ওই গ্রামের বাসিন্দা মিনু আচার্য(৫০)। তার তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে। বাড়িতে নাতিরা খেলছিল। সেই খেলার সময় দেওয়ালে কাদা মাটি লাগানো নিয়ে বিবাদ হয়।

সেই বিপদ থেকে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ছোট ছেলে সুরজ আচার্যকে আক্রমণ করে বড় ছেলে ছোটন আচার্য, বৌদি পায়েল আচার্য, দিদি প্রতিমা সাহানি এবং জামাইবাবু ইন্দোল সাহানি। ব্যাপক মারধর শুরু হয়। গ্রামের রাস্তায় ফেলে মশারির দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় দুই হাত। লাঠি,লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। এমনকি ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। এই মুহূর্তে সুরোজ আচার্য হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। তার স্ত্রী মমতা আচার্য স্বামীকে বাঁচাতে এসে আক্রমণের শিকার হন। সমগ্র ঘটনা নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মা মিনু আচার্য্য। যদিও পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ জমা পড়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগকারী মা মিনু আচার্য বলেন, আমার ছোট ছেলেকে আমার বড় ছেলে এবং মেয়ে জামাই মিলে বেধড়ক মারধর করেছে। আমার বৌমাকেও মেরেছে। আমার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। পুলিশকে সমগ্র ঘটনা জানিয়েছি।

ওই পরিবারেরই আরেক মেয়ে বিউটি আচার্য বলেন, প্রথমে আমি দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা ভেবে মাথা ঘামাইনি। পরে জানতে পারি আমার ছোট ভাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। তখন আমি এখানে আসি। যেহেতু আমি এসেছি আমাকে ওরা মারার কথা বলছে। পুলিশকে এসে বারবার বলছি কিন্তু পুলিশ সঠিক ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

পরিবার সূত্রের খবর পরিবারে একাংশ বাড়ির ভাগ চাইছে। কিন্তু পরিবারের কর্তি মিনু আচার্য বাড়ির ভাগ করছেন না। মূলত সেই নিয়ে রাগ ছেলে মেয়েদের। তবে পারিবারিক বিবাদ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তাজ্জব এলাকাবাসী। সকলে চাইছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। নয়তো এদের সাহস আরো বাড়তে থাকবে। এলাকাবাসীর মতে এখন অপরাধীদের মনে আইনের ভয় থাকছে না। তাই পারিবারিক বিবাদেও রক্তপাত হচ্ছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button