বর্ধমান

বর্ধমান থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিনজনের

বর্ধমান থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিনজনের

বর্ধমান থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের। গুরুতর আহত দু’জন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার কেতুগ্রাম থানার বাদশাহী সড়কে। মৃত ও আহতরা সকলেই বড়ঞা থানার ফুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। গুরুতর আহত দুজন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। বড়ঞা থানার ফুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাদশা মল্লিক তাঁর বাবার চিকিত্‍সার জন্য গাড়ি করে বর্ধমানে গিয়েছিলেন।

সঙ্গে ছিলেন বাদশা মল্লিকের স্ত্রী, এক প্রতিবেশী-সহ গাড়ির চালক। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কেতুগ্রাম থানার বাদশাহী সড়কে ঘটে যায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। একটি গ্যাস ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটিতে সজোরে ধাক্কা মারে।

গ্যাস ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় চারচাকা গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাদশা মল্লিক, বাবা মদন মল্লিক ও প্রতিবেশী চাদ সেখের। বাদশা মল্লিকের স্ত্রী চম্পা বিবি ও গাড়ির চালক পারভেজ হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। মৃত মদন মল্লিকের মেয়ে সারজিনা বিবি বলেন, ‘আমার বাবার হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিল। সেইকারনে বাবার চিকিত্‍সার জন্য বর্ধমানে নিয়ে গিয়েছিল। আমার দাদা, বৌদি ও আমাদের প্রতিবেশী একজন গিয়েছিলেন।’

তিনি আরও জানান, ‘দুপুরে ফোনে খবর খবর পাই গ্যাস ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় বাবা ও দাদার মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটল আমরা কিছু জানি না। মৃত বাদশা মল্লিকের মামা গোলাম সফিউদ্দিন বলেন, বাদশা ওর বাবার চিকিত্‍সার জন্য বর্ধমানে নিয়ে যেত। প্রতিবেশি চাঁদ সেখও ওদের সঙ্গে গিয়েছিল। কিন্তু এই ভাবে ওরা দুর্ঘটনার কবলে পড়বে আমরা কল্পনাও করিনি। এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button