ঝাড়গ্রাম

কুড়মি নেতা-কর্মীদের জামিনের আবেদন খারিজ, আরও তিনটি মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হল

স্বপ্নীল মজুমদার

কুড়মি নেতা-কর্মীদের জামিনের আবেদন খারিজ, আরও তিনটি মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হল

মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলার মামলায় রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো সহ কুড়মি আন্দোলনের ১১ জন নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন খারিজ করল ঝাড়গ্রাম জেলার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা আদালত।

সোমবার অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের শুনানির দিন ছিল। এদিন সকালে ১১ জন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের দেখার জন্য আদালত চত্বরে কুড়মি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী ও সরকার পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস জামিনের আবেদন খারিজ করে।

আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ২৬ মে পুনরায় ১১ জনকে আদালতে হাজির করা হবে। সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত রায় জানান, সিআইডির আবেদনের ভিত্তিতে আগামী বুধবারের মধ্যে মন্ত্রী বিববাহা হাঁসদার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

কুড়মি নেতা-কর্মীদের জামিনের আবেদন খারিজ, আরও তিনটি মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হল

এদিন সিআইডির মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর ১১ জন অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। ২৬ মে গাড়িতে হামলার পর মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ির চালকও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগপত্রে কারও নাম ছিল না। কেবল অজ্ঞাতপরিচয় কুড়মি বিক্ষোভকারীদের কথা বলা ছিল।

রাজেশদের জেলে জেরা করে ওই মামলায় তাঁরা যুক্ত বলে আদালতকে জানিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম থানার তদন্তকারী অফিসার নীলু মণ্ডল। ১১ জনকে ওই দ্বিতীয় মামলাটিতে গ্রেফতার করার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়েছিল পুলিশ। সিজেএম আদা‌লত ১১ জনকে গ্রেফতার দেখানোর (শোন অ্যারেস্ট) বিষয়টি মঞ্জুর করেন।

কুড়মি নেতা-কর্মীদের জামিনের আবেদন খারিজ, আরও তিনটি মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হল

এদিনই জামবনি থানার পুরনো দু’টি রাস্তা অবরোধের মামলায় কৌশিক, রাজেশ, শিবাজী, মনমোহিত, অনুভব, নীতিশ, ও অনিত মাহাতোকে ওই দু’টি মামলার অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করার পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় রাজেশ মাহাতো বলেন, ‘‘কুড়মিদের জাতিসত্তার সামাজিক আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে যেমন চলছিল, তেমনই চলবে।

নির্বাচন বা রাজনীতি নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের থাকে আমরা সমদূরত্ব বজায় রেখে চলছি। আমি চাই রাজ্য সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান হোক। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা দেখার আছে। রাজ্য সরকার যদি মনে করে আমাদের জেলে রেখে আন্দোলন দমন করবে এটাও আমরা নজরে রাখছি।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button