কালীঘাটের কাকুর টাকার উৎস কি? ক্যামাক স্ট্রীটে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
শহরে ফের ইডির (Enforcement Directorate) হানা। ক্যামাক স্ট্রিট, এজেসি বোস রোড ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এলাকায় তিনটি অফিসে অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এই তিনটি জায়গাতেই এক নির্মাণকারী সংস্থার অফিস রয়েছে। সেই অফিস গুলিতেই তল্লাশি চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক যোগের সন্ধান পেতে অভিযান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Kriahna Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র টাকা এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে খাটানো হত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই আজ দুপুরে শহরে তিন জায়গায় হানা দেয় ইডি।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বর্তমানে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Kriahna Bhadra) ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড থেকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। আপাতত তিনি কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে ৯ নম্বর বেডে কালীঘাটের কাকু চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Kriahna Bhadra)। স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। প্যারোলের মেয়াদ শেষে জেলে ফিরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপরই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে। সূত্রের খবর, কালো টাকা সাদা করতে হাওয়ালা যোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রায় ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডির (Enforcement Directorate) স্ক্যানারে রয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারদের সন্দেহ, ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে টাকা ঘোরানো হয়েছে।